আবু সাঈদ,বেরোবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের( বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া ঊর্মিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং গ্রেফতার করা না হলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেডের হুশিয়ারি দিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এক বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই হুশিয়ারি দেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদ গেইটের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়।
সমাবেশে আবু সাঈদের বড় ভাই বলেন,”দেশের জন্য আবু সাঈদের যে আত্মত্যাগ তা সারা দেশবাসী দেখেছেন। কিন্তু উর্মি একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তার এই কটুক্তির মাধ্যমে ২৪এর সংগ্রামকে অস্বীকার করা হয়েছে।তাই তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে এবং আইনের মাধ্যমে বিচার করা হোক।”
শিক্ষার্থীরা বলেন,আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, যা সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছেন। কিন্তু উর্মি একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তাকে সন্ত্রাস বলে কটুক্তি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি শুধু আবু সাঈদকে কটুক্তি করেননি বরং তিনি ২৪ এর আন্দোলনকে এবং বিজয়কে অস্বীকা করেছেন বলে আমরা মনে করি। তিনি একজন স্বৈরাচারের দোসর। আমরা চায় তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হোক। যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে আমরা উত্তরবঙ্গ ব্লকেডসহ আরো বড় কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।”
উল্লেখ্য যে,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি আবু সাঈদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লিখেন, “মানে কত বড় বোকার স্বর্গে আছি এইটা শুধু চিন্তা করি। আবু সাইদ! বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী, সন্ত্রাসী একটা ছেলে যে কী না বিশৃংখলা করতে গিয়ে নিজের দলের লোকের হাতেই মারা পড়লো সে নাকি শহীদ! এটাও এখন মানা লাগবে!
আর এই আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসী র জন্য দেশের অথর্ব অতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদেকেটে বুক ভাসিয়েছে। তখন যাকেই বলার চেষ্টা করেছি পুরো ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ, সেই দশটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনে থেকে সরকারের দা লাল হয়ে গিয়েছি একথা বুঝানোর তো বাকিই রাখনি।’
‘এই যে একটা স*ন্ত্রা*সীর মৃত্যুকে অজুহাত বানিয়ে কত নিরীহ পুলিশ ভাইদের হত্যা করা হলো তার দায়ভার কি এই অথর্ব সমাজ নিবে? এই ছেলের জন্য প্রধান উপদেষ্টা তার দলবল নিয়ে চলে আসলেন রংপুর। লালমনিরহাট থেকে এই উপদেষ্টা দলের জন্য আবার পাঠাতে হয়েছে গাড়ি। রংপুরের বাকি সাত জেলা থেকেও গাড়ি পাঠাতে হয়েছে।
এই আহাম্মকি ভ্রমণের জন্য এত বড় গাড়ি বহর পুরো বিভাগ থেকে যে গেলো তার তেল খরচ কে দিয়েছে? যাই হোক, ভিডিওটা দেখুন। ভালোমত দেখুন আর মুখস্থ করুন। আর কী বলব!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।