স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট দলে সুযোগ হারিয়ে ভারতের বর্ষীয়ান উইকেটকিপার ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী আর প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি এক সাংবাদিক তাকে ‘হুমকি’ দিয়েছেন বলে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত ঘটান। সেই হুমকির স্ক্রিনশট প্রকাশের পর সবাই ঋদ্ধিমানকে বলছেন, সেই সাংবাদিকের নাম বলতে। কিন্তু ঋদ্ধিমান সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করে তার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে নারাজ।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার ইস্যুতে ঋদ্ধিমান সাহার সাক্ষাৎকারের আশায় ছিলেন এক সাংবাদিক। কিন্তু তাকে হোয়াটসঅ্যাপে কোনো সাড়া দেননি ঋদ্ধিমান। সেই রাগে ঋদ্ধিকে হুমকি দিয়ে বসেন ওই সাংবাদিক। তার নাম প্রকাশ করা নিয়ে ঋদ্ধিমান বলেন, ‘বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যদি আমাকে নাম জিজ্ঞেস করা হয়, আমি বলব, তার ক্যারিয়ারের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। তাকে নামিয়ে আনতে চাই না। ‘
ঋদ্ধিমান আরও বলেন, ‘ঠিক এসব কারণেই টুইটে তার নাম উল্লেখ করিনি। আমার মা-বাবা আমাকে সেই শিক্ষা দেননি। আমার টুইটের উদ্দেশ্য ছিল সংবাদমাধ্যমে এমন অনেকে আছেন যারা ক্রিকেটারদের অবজ্ঞা করেন, সেই তথ্যটা সামনে আনা। কাজটা যে ঠিক নয় সেটাই আমি টুইটের মাধ্যমে বলতে চেয়েছিলাম। যিনি কাজটা করেছেন, তিনি নিজে জানেন। আমি টুইট করেছিলাম যাতে অন্য ক্রিকেটারদের এমন কিছুর মুখোমুখি হতে না হয়। আমি বলতে চাই যা হয়েছে সেটা ভুল, অন্য কেউ যেন এটা না করেন। ‘
শনিবার ঋদ্ধি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে কোনো এক সাংবাদিক ঋদ্ধির সাক্ষাৎকার চাইছেন। কিন্তু ঋদ্ধি তাকে কোনো উত্তর দেননি। তখন সেই সাংবাদিক লিখেন, ‘আমি অপমান হজম করি না। এটা আমি মনে রাখব। ’ সেই টুইটে ঋদ্ধি লেখেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য আমি যা করেছি, তারপর আমার এটা প্রাপ্য ছিল একজন সম্মানিত সাংবাদিকের কাছ থেকে? সাংবাদিকতা এই জায়গায় পৌঁছে গেছে!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।