লাইফস্টাইল ডেস্ক : তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সিলিং ফ্যান কিংবা টেবিল ফ্যানে হচ্ছে না ঘর ঠাণ্ডা। এয়ার কুলার দিয়েও এখন ঘর ঠাণ্ডা রাখা মুশকিল হয়ে উঠেছে। এ গরমে ঠাণ্ডা থাকার একমাত্র উপায় হলো এয়ার কন্ডিশনার বা এসি।
বর্তমানে প্রায় সবার ঘরে ঘরেই এসি আছে। তবে গরমে ঠিক কতক্ষণ এসি চালানো উচিত, তা হয়তো জানা নেই অনেকেরই। আর এ কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চালিয়ে বিদ্যুৎ বিল বাড়াচ্ছেন সবাই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি এয়ার কন্ডিশনার প্রতিবার ১৫-২০ মিনিটের জন্য চালানো উচিত। এক্ষেত্রে এসির তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে ঘর ঠাণ্ডা করুন। তারপর ২০ মিনিট পর এসি বন্ধ করে দিন। দেখবেন অনেক্ষণ পর্যন্ত ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কোনো দিক দিয়ে যেন গরম বাতাস ঘরে না ঢোকে। এ জন্য ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন। আর জানালায় অবশ্যই ভারী পর্দা ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত গরমের দিনে প্রয়োজন হলে এয়ার কন্ডিশনার বেশিক্ষণ চালাতে পারেন। তবে চেষ্টা করুন তাপমাত্রা কমিয়ে ঘর দ্রুত ঠান্ডা করে তারপর এসি বন্ধ করে দেয়ার।
গরমে এসি চালানোর সময় থার্মোস্ট্যাট সেটিং নির্ধারণ করুন। এটি যত কম মাত্রায় সেট করবেন, এয়ার কন্ডিশনারকে সেই মাত্রায় পৌঁছানোর জন্য তত বেশি সময় চালাতে হবে। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে ঘরও ঠান্ডা হবে আবার বিদ্যুৎ বিল কমবে।
এয়ার কন্ডিশনার চালানোর সময় সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হল আপনার এয়ার কন্ডিশনারের আকার। বেশি টনের এয়ার কন্ডিশনার ১০ মিনিট চালালেই ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে।
একে শর্ট-সাইক্লিং বলা হয়, এর অর্থ হলো এয়ার কন্ডিশনার আপনার বাড়িকে খুব দ্রুত ঠাণ্ডা করে। আসলে একটি বড় এয়ার কন্ডিশনার বাতাসকে ঠান্ডা করবে কিন্তু এটি ঘরকে আর্দ্র করবে না।
অন্যদিকে ছোট আকারের এয়ার কন্ডিশনার ঘরকে পর্যাপ্তভাবে ঠাণ্ডা করতে অনেক বেশি সময় নেয়। তাপমাত্রা কমিয়েও যদি ২০ মিনিটের বেশি ধরে এসি ঘরকে ঠান্ডা করতে না পারে, তাহলে বুঝবেন আপনার ঘর অনুযায়ী এয়ার কন্ডিশনার ছোট আকারের।
আর সঠিক আকার না হওয়ার কারণে আপনার এসি ইউনিটের আয়ুষ্কাল কমবে ও ঘন ঘন একজন এসি টেকনিশিয়ানকে দেখানো প্রয়োজন হবে।
সূত্র: প্রফেশনাল সার্ভিস টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।