স্পোর্টস ডেস্ক : সমর্থকদের চোখে মোহাম্মদ মিঠুন যেন জাতীয় দলের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। পরিসংখ্যান হোক বা সমর্থকদের ক্ষোভ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আসন্ন বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও মিঠুনকে দলে রাখেননি নির্বাচকরা। আপাতত এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ভাবনায় নেই বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছেন মিঠুন।
দুই দলের সিরিজের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন মিঠুন। প্রথম ইনিংসে ৫ রান করে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। অপরাজিত ছিলেন ১০১ রান করে। ২০৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি চার ও ১টি ছয়ের মারে। ম্যাচ শেষে মিঠুন বলেন, এই সেঞ্চুরি তাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
এক ভিডিও বার্তায় মিঠুন বলছিলেন, ‘আমার জন্য ম্যাচগুলো খুব দরকার ছিল। গত কিছু দিন খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। রান করতে পেরে ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি, এটা আমাকে অনেক সহায়তা করবে।’
সঙ্গে আরও জানান মিঠুন, ‘আমাদের এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিল ম্যাচ অনুশীলন। এখন পর্যন্ত অনুশীলন খুবই ভালো হয়েছে। এখানকার সুযোগ-সুবিধা ভালো ছিল। কয়েকদিন আগে এসেছি, ভালো অনুশীলন সুবিধা পেয়েছি। চট্টগ্রামের উইকেট সবসময়ই ভালো থাকে। সবকিছু মিলিয়ে ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লেগেছে।’
চট্টগ্রামে দুটি চারদিনের ম্যাচের প্রথমটি বৃষ্টিভে ভেসে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে ড্র’তে সন্তুষ্ট থাকতে হলো আকবর আলী-মুমিনুল হকদের। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুলের অর্ধশতকে স্কোরবোর্ডে ২৩১ রান জমা করে ‘এ’ দল। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয় ও আকবরের ফিফটিতে ৬ রানের লিড পায় এইচপি ইউনিট। অলআউট হয় ২৩৭ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিঠুন। সঙ্গে ব্যক্তিগত পঞ্চাশের কোটা পূর্ণ করেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তিনি খেলেন ৮৬ রানের ইনিংস। এতে ৬ উইকেটে ৩৭১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ‘এ’ দল। ৩৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে এইচপি ইউনিট। এতেই শেষ হয় চারদিনের খেলা। ড্র হয় ম্যাচ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।