বর্তমান দুনিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি বা ইন্টারনেট খালি চোখে খুব সাধারণ মনে হলেও সবকিছুই চলে সুপার কম্পিউটার দিয়ে। বিশ্বের বড় বড় প্রায় সব প্রযুক্তি জায়ান্টই তাদের ইকোসিস্টেম চালায় সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে। ফেইসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা দুনিয়ার দ্রুততম এআই সুপার কম্পিউটার বানানোর দাবি করেছে।
ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ মাত্র কয়েক মাস আগে মেটাভার্স ঘোষণা দিয়ে প্রযুক্তি জগতে বেশ আলোচনায় এসেছে। ফেসবুক তাদের মূল প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মেটা করেছে। গত সোমবার জাকারবার্গ জানালেন,তাদের নতুন এআই সুপারকম্পিউটার মেটাভার্সের উন্নতিতে তৈরিতে কাজ করবে।
সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি এআই কম্পিউটারটি পুরোপুরি নির্মিত হলে বিশ্বের দ্রুততম হবে বলে দাবি করেছে। এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে এটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে বলে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
সুপারকম্পিউটারগুলি অসম্ভব ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার যেগুলো এমন সব জটিল হিসাব করার ক্ষমতা রাখে যা সাধারণ হোম কম্পিউটারে করা সম্ভব নয়।
এআই কম্পিউটারটি কোথায় আছে বা এটি তৈরি করতে কেমন খরচ হচ্ছে তা জানায়নি মেটা।
কম্পিউটারটি এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু করলেও এর নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। রিসার্চ সুপারক্লাস্টার বা আরএসসি নামের এই সুপারকম্পিউটার প্রতিষ্ঠানটির এআই গবেষকদের “নতুন এবং আরও ভাল” কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে বলএ আশা করছে ফেইসবুকের। এটি “ট্রিলিয়ন সংখ্যক উদাহরণ থেকে শিখতে, একইসঙ্গে শত শত বিভিন্ন ভাষায় কাজ করতে এবং লেখা, ছবি এবং ভিডিও একসঙ্গে বিশ্লেষণ করতে করতে সক্ষম হবে।
মেটা যেভাবে এআই সুপার কম্পিউটারের ক্ষমতার কথা বলছে সেটি প্রচলিত এবং অপেক্ষাকৃত ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটারের ক্ষমতা পরিমাপ পদ্ধতির চেয়ে আলাদা হবে। এই সিস্টেমটি নির্ভর করে এর গ্রাফিক্স-প্রসেসিং চিপের কার্যকারিতার ওপর এবং এর ফলে ছবি, লেখা ও ভাষা বোঝার ক্ষেত্রে এটি বাড়তি সুবিধা পাবে – বলেন কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই সেন্টারের সহ-পরিচালক ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক তুওমাস স্যান্ডহোম।
মেটাও প্রায় একই ধরনের আশা প্রকাশ করেছে। এক ব্লগ পােস্টে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “আমরা আশা করি আরএসসি আমাদের সম্পূর্ণ নতুন এআই সিস্টেম তৈরি করতে সহায়তা করবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেক মানুষের সমাবেশে এটি মুখে বলামাত্রই মৌখিক ভাষা অনুবাদের কাজ করতে পারে। এর ফলে, কোনো গবেষণা প্রকল্পে বিভিন্ন ভাষাভাষী গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতা করতে পারে বা একসঙ্গে এআর গেইম খেলতে পারে।”
মেটা বলছে, এআই সুপার কম্পিউটারটি তার এআই প্রশিক্ষণের জন্য নিজস্ব সিস্টেম থেকে “বাস্তব-বিশ্বের উদাহরণ” অন্তর্ভুক্ত করবে। আগের উদ্যোগগুলোয় প্রতিষ্ঠানটি কেবল ওপেন-সোর্স এবং অন্যান্য মুক্ত ডেটাসেট ব্যবহার করেছিল।
“তারা প্রথমবারের মতো এআই গবেষণা কম্পিউটারে নিজেদের গ্রাহকের ডেটা রাখতে যাচ্ছে” – স্যান্ডহোম বলেন। “এআই গবেষক এবং অ্যালগরিদমগুলোকে সেই সব ডেটায় অ্যাক্সেস দেওয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে জন্য এআই সুপার কম্পিউটার সত্যিই একটি বড় পরিবর্তন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।