Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home এই ঘড়ি অনুমান করে কেয়ামত কত কাছে
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    এই ঘড়ি অনুমান করে কেয়ামত কত কাছে

    Shamim RezaJanuary 24, 20225 Mins Read
    Advertisement

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমানে ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত থেকে মাত্র ১০০ সেকেন্ড দূরে অবস্থান করছে। ১৯৪৭ সালে এই প্রতীকী ঘড়ি আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে ডুমসডে বা কেয়ামতের এতো কাছে কখনোই আসেনি এ ঘড়ির কাঁটা।

    ঘড়ি

    গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ডুমসডে ক্লকের এবারের অবস্থান জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত থেকে মাত্র ১০০ সেকেন্ড দূরে অবস্থান করছে। এখানে মধ্যরাত (অর্থাৎ রাত ১২টা) মানে মানব সভ্যতার পরিসমাপ্তি।

    ১৯৪৭ সালে এই প্রতীকী ঘড়ি আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে ডুমসডে বা কেয়ামতের এতো কাছে কখনোই ছিল না এ ঘড়ির কাঁটা।

    কিন্তু এ ঘড়ির কাঁটার অর্থ কী? কীভাবেই বা যাচাই করা হয় কেয়ামতের কত কাছে আছি আমরা?

    পারমাণবিক বোমা ও ডুমসডে ক্লকের সূত্রপাত

    ১৯৩৯ সালে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এবং লিও সিলার্ড তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পারমাণবিক প্রযুক্তির অগ্রগতি সম্বন্ধে জানিয়ে একটি চিঠি লিখেন। সেখানে নব-আবিষ্কৃত পারমাণবিক বোমার শক্তিমত্তা সম্বন্ধে তারা বলেন, “একটি একক বোমা নৌকায় করে নিয়ে কোনো বন্দরে ফেলে দিলে পুরো বন্দরই ধ্বংস হয়ে যাবে।”

    এ চিঠির ফলেই ১৯৪২ সালে মার্কিন প্রশাসন ‘ম্যানহাটান প্রজেক্ট’ নামের একটি বিশাল বিজ্ঞানিক ও সামরিক প্রকল্প হাতে নেয়, যেটি ছয় বছরের মধ্যেই আইনস্টাইন এবং সিলার্ডের প্রাথমিক কল্পনার চেয়ে অনেকগুণ শক্তিশালী একটি বোমা তৈরি করে, যেটি পুরো শহরকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। এর কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রকল্পে এমন এক পারমাণবিক অস্ত্রাগার তৈরি হয় যা পুরো সভ্যতাকেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।

    এই পারমাণবিক অস্ত্রাগারের সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে তা প্রথম আন্দাজ করেন ম্যানহাটান প্রজেক্টে কাজ করা বিজ্ঞানীরাই। একটি বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা হিসেবে শুরু হওয়ার এই প্রকল্পের রাজনীতিকরণ দেখে ভয় পেয়ে যান অনেক বিজ্ঞানী।

    তাই তারা পারমাণবিক প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখার প্রয়াসে সক্রিয়ভাবে সংগঠিত হতে শুরু করেন। ১৯৪৫ সালের জুনে জেমস ফ্র্যাঙ্কের নেতৃত্বে একদল পরমাণু বিজ্ঞানী মার্কিন সরকারের কাছে ‘ফ্রাঙ্ক রিপোর্ট’ পেশ করেন। এই প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বিশ্বজুড়ে একটি বিপজ্জনক পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করে, এবং জাপানে কোনো পারমাণবিক আক্রমণ না চালানোর জন্য অনুরোধ করে। মার্কিন প্রশাসন এই প্রতিবেদনকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে এবং হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা নিক্ষেপ করে।

    এই পারমাণবিক হামলার চার মাস পর বিজ্ঞানীরা মিলে একটি বুলেটিন প্রকাশ করা শুরু করে, যার নাম দেওয়া হয় ‘বুলেটিন অব দ্য এটমিক সায়েন্টিস’। পারমাণবিক প্রযুক্তির ভয়াবহতা সম্বন্ধে জনগণকে সচেতন করাই ছিল বুলেটিনের লক্ষ্য।

    হাঁপানির সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

    দুই বছর পর, ১৯৪৭ সালে ম্যাগাজিন আকারে প্রকাশিত হতে শুরু করে এই বুলেটিন। ম্যাগাজিনের প্রথম প্রচ্ছদেই শোভা পায় ইতিহাসের প্রথম ডুমসডে ক্লক। এই প্রচ্ছদ অলংকরণ করেছিলেন ল্যান্ডস্কেপ শিল্পী মার্টিল ল্যাংসডর্ফ, যিনি ম্যানহাটান প্রজেক্ট বিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার ল্যাংসডর্ফের স্ত্রী।

    পারমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে তার স্বামী এবং সহকর্মীরা যে ভীতি এবং হতাশা অনুভব করেছিলেন তা বুঝতে পারছিলেন মার্টিল। তাই পারমাণবিক প্রযুক্তির ভয়াবহতার দিকে সবার মনোযোগ ফেরাতেই এই ঘড়ি এঁকেছিলেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করতেন, জনগণ সংঘবদ্ধ হলে বড় বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব। যে কারণে তার ঘড়ির ধরণ এমন- এর কাঁটা যেমন সামনে যেতে পারে, তেমনি পিছনেও যেতে পারে।

    ১৯৪৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে ঘড়ির কাঁটা সামঞ্জস্য করে আসছে বুলেটিন কর্তৃপক্ষ।

    ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে ঘড়ির কাঁটা (মধ্যরাত থেকে) তিন মিনিটে আনা হয় (২৩: ৫৭)। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করলে তা আরও এগিয়ে দুই মিনিটে আনা হয় (২৩: ৫৮)।

    এর এক দশক পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন বায়ুমণ্ডলে পারমাণবিক পরীক্ষা না চালানোর ব্যাপারে সম্মত হয়। ফলশ্রুতিতে ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে যায় (মধ্যরাত থেকে) ১২ মিনিটে।

    ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের জন্য এই কাঁটা আনা হয় সাত মিনিটে। ১৯৭২ সালে বিশ্বশক্তিদের মাঝে অস্ত্র সীমাবদ্ধতা চুক্তি সাক্ষরিত হলে তা আবার ১০ মিনিটে ফিরিয়ে আনা হয়।

    ১৯৮৪ সালে আবার যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েতের মাঝে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যায়, ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আসে তিন মিনিটে। ১৯৯১ সালে স্নায়ুযুদ্ধ যখন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়, ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে গিয়ে ঠেকে ১৭ মিনিটে।

    ঘড়ির কাঁটার অর্থ

    এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, সাধারণ ঘড়ির মতো আচরণ করে না ডুমসডে ক্লক। যেহেতু সামনে-পিছনে দুদিকেই চলে এ ঘড়ির কাঁটা, তারমানে এটি একরৈখিকও না।

    মূলত মানব সভ্যতা কতটুকু অস্তিত্ব ঝুঁকির মুখে আছে, সেটি নির্দেশ করে এই ঘড়ি।

    ২০০৩ সালে ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী মার্টিন রিস বলেছিলেন, “আমাদের বর্তমান সভ্যতার এই শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার সম্ভাবনা ৫০:৫০-এর বেশি না।” তিনি একা না, অস্তিত্ব ঝুঁকি যাচাইয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ডাটাবেজ রয়েছে যেখানে একজন গবেষক শতাধিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের ভবিষ্যদ্বাণী সংগ্রহ করেছেন।

    এসব ভবিষ্যদ্বাণী কতটুকু সঠিক তা দীর্ঘ-পরিসরের মূল্যায়নে বুঝা যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের সভ্যতা কতটুকু ঝুঁকির মধ্যে আছে, তা হিসেব করার জন্য কিন্তু কোনো কার্যকর মেট্রিক নেই। আমাদের জন্য সেই মেট্রিক বা সতর্ক-ঘণ্টাই এনে দিয়েছে ডুমসডে ক্লক।

    ডিজিটাল রাইডে বাইক চালকদের জন্য বিশেষ অফার

    এখন প্রশ্ন করতে পারেন, ডুমসডে ক্লকের কাঁটা কেন সবসময় ১২টার এতো কাছে অবস্থান করে?

    গ্রহ হিসেবে পৃথিবী জন্ম নেওয়ার পর থেকে আজকের দিন পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে তা যদি একটি ৩৬৫ দিনের বছরে সংকুচিত করা হয়, তাহলে সে বছরের মার্চের শুরুতে প্রাণের আবির্ভাব হবে। নভেম্বরে আসবে বহু-কোষীয় জীব, ডিসেম্বরের শেষের দিকে আসবে ডাইনোসর। মানুষের আবির্ভাব হবে ৩১শে ডিসেম্বর রাত ১১টা ৩০ মিনিটে। ডুমসডে ক্লক কেন দিনের সর্বশেষ ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ঘুরাঘুরি করে, তার উত্তর এখান থেকে নিতে পারেন।

    প্রথমে শুধু পারমাণবিক ঝুঁকি বিবেচনা করে এই ঘড়ির কাঁটা আগানো-পেছানো হলেও এখন সভ্যতার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এরকম অনেক কারণকেই বিবেচনায় আনা হয়। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তন, জৈব অস্ত্র, সাইবার হুমকি ইত্যাদি।

    ২০১৮ সাল থেকে ডুমসডে ক্লক মধ্যরাত থেকে মাত্র ১০০ সেকেন্ড দূরে অবস্থান করছে। ঘড়ির এই স্থিতি ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। এই তিন বছর অস্তিত্ব ঝুঁকির কারণ হিসেবে বুলেটিন কর্তৃপক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার ঝুঁকি ও বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের বিজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করার প্রবণতার কথা উল্লেখ করেছে। এর সাথে চিরায়ত যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সামরিক উত্তেজনা তো আছেই।

    আল্লু অর্জুন ভারতের সবচেয়ে দামি অভিনেতা হতে চলেছেন

    এরমধ্যে সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়েই। ২০১৯ সালে বিজ্ঞানীরা জানান, পরবর্তী ১১ বছরের মধ্যে কার্বন নির্গমন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে না আনতে পারলে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে এই গ্রহের। এই সতর্কতার তিন বছর পরও বিশ্বজুড়ে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ভারতের মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলো এই তিন বছরে তেমন কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প, জাইর বলসোনারোর মতো নেতারা এক কথায় জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্বীকার করেছেন।

    বিশ্বনেতাদের বিজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করার এই প্রবণতা তাই দিনকে দিনকে বিজ্ঞানীদের ভাবিয়েই যাচ্ছে। এই প্রবণতা আমাদের গ্রহকেও নিয়ে যাচ্ছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। ডুমসডে ক্লকের কাঁটা সামনের বছরগুলোতে ১০০ সেকেন্ড থেকে আরও সামনে চলে আসলেও তাই অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও অনুমান এই কত করে কাছে কেয়ামত ঘড়ি, প্রযুক্তি বিজ্ঞান
    Related Posts
    book

    শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী দামে ল্যাপটপ আনছে অ্যাপল

    July 28, 2025
    whatsapp

    হোয়াটসঅ্যাপের যেসব গোপন ফিচার জানেন না অনেকেই

    July 28, 2025
    TVS Apache RTX 300

    ৩০০ সিসির অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল আনছে টিভিএস

    July 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    us golden visa step by step

    US Golden Visa: Step-by-Step Guide to the EB-5 Immigrant Investor Program

    Uranus hotter

    Uranus Shatters Temperature Myths: Internal Heat Discovery Rewrites Solar Science

    Supermassive Games layoffs

    Supermassive Games Confirms 36 Layoffs, Delays Directive 8020 to 2026

    US-EU trade deal

    U.S., EU Avoid Tariffs with $600B Investment, $750B Energy, 15% Import Tax

    Vivo V60

    Vivo V60 Launch Imminent as Certification Listings Surface: August Debut Expected

    TikTok art project scam

    TikTok Art Project Scam: Fake E-Checks Target Unsuspecting Users, FTC Warns

    Jenna Marbles now

    Where Is Jenna Marbles Now? Inside Her Life After YouTube

    moon base

    South Korea Targets Permanent Moon Base by 2045 with KASA Space Agency

    Clive Barker's Hellraiser: Revival

    Clive Barker’s Hellraiser: Revival Officially Announced as Survival Horror Game

    HBO Max rock documentaries

    HBO Max Rock Documentaries Spotlight: Billy Joel and Big Star Stories Unfold

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.