বরগুনার আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রির কক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহভাজন এক আসামির অর্ধনগ্ন ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। শানু হাওলাদার নামের ওই নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার ও মনোরঞ্জন মিস্ত্রির দাবি করা তিন লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আসলে শুরু হয় সমালোচনা। দেশের সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনও বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা করেন।
নিজের ফেসবুক পেজে আজ শুক্রবার দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় সুমন বলেন, ‘আমতলী থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই যে আপনারা শানু হাওলাদারের পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা চাইছিলেন তারা দিতে পারেনাই, মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। এই কারণে আপনারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। এই যে করোনার আতঙ্কের মধ্যে আমার কাছে লজ্জা লাগে, মনে হয় এইসব মানুষের কারণেই করোনা আমাদের কাউকেউ মাফ করবে না।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘আমার এও মনে হয়, এই যে কিছু মানুষ যারা এই ধরনের অপরাধ করেন, এই ধরনের অমানুষ তাদের যদি করোনা নিয়েও যায় এতে যদি আমারও নাম থাকে আমিও চলে যেতে চাই বাংলাদেশ থেকে। তাও যদি বাংলাদেশটা মুক্তি পায়। ’
ফেসবুকবার্তায় সুমন বলেন, ‘আমি আমার দল, সরকার, আমার নেত্রী উনাকে বলছি, যারা দায়িত্বে আছেন তাদের এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। আমি আইজিপি সাহেবের অনেক সুনাম শুনছি, কোর্ট খুললে আবার এই বিচার নিয়ে যেন সুপ্রিমকোর্টে যেতে না হয়। আমার বিশ্বাস এই লকডাউন থেকে বের হওয়ার আগেই আপনারা এটার ব্যবস্থা নেবেন। কারণ, এত অমানুষ নিয়ে আমার মনে হয় করোনার সাথে চলে যাওয়াই খুব বেশি খারাপ হবে না।’
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আমার অবাক লাগে একজন ওসি এত সাহস পেত না যদি তাতে এলাকার যেসব নেতা আছেন তাদের কন্ট্রিবিউশন না থাকে। নিশ্চয় আপনারাও কোনো না কোনোভাবে এই ওসির কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছেন। আমি আমার এলাকার থানায় গিয়ে দেখছি, রাজনৈতিক নেতারা যদি ছত্রছাড়ায় না থাকেন তবে একজন ওসি এত সাহস কখনোই পান না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।