জুমবাংলা ডেস্ক: শীতকালের সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজির তালিকায় রয়েছে শিম। শীতের শুরু থেকেই নওগাঁর হাট-বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে শিম পাওয়া যাচ্ছে। বাংলানিউজ-এর প্রতিবেদক তৌহিদ ইসলাম-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকরা শিমের ভালো দাম পাচ্ছেন। ফলে এ বছর নওগাঁয় ৬১ কোটি টাকার শিম বিক্রির প্রত্যাশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি শীত মৌসুমে ৮৪৫ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক শিম চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৭৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ২০, আত্রাই উপজেলায় ২৫, বদলগাছি উপজেলায় ১২০, মহাদেবপুর উপজেলায় ১০০, পত্নীতলা উপজেলায় ৮০, ধামইরহাট উপজেলায় ৫০, সাপাহার উপজেলায় ৩৫, পোরশা উপজেলায় ৪০, মান্দা উপজেলায় ৫০ এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর।
নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্তিপুর এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, এ বছর ১৫ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করেছিলেন তিনি। পুরো চাষ খরচ বাদ দিয়ে ১৫ শতাংশ জমি থেকে ৫৫ হাজার টাকা লাভ পেয়েছেন তিনি। আগাম জাতের শিম চাষে দাম পাওয়া যায় ভালো।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, এ বছর শুরু থেকেই আবহাওয়া ছিল শিম চাষের অনুকূলে। ফলে রেকর্ড পরিমাণ শিম চাষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১০ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন শিম উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি শুরু থেকেই কৃষক দাম পেয়েছে ভালো। কৃষিবিভাগ সবসময়ই কৃষককে সুপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে সামনের দিনে শিম চাষ আরও বাড়ে এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
চলতি মৌসুমে আগাম জাতের শিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম ৬০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে চলতি মৌসুমজুড়ে কৃষি বিভাগের মতে এ বছর কৃষকরা উৎপাদিত শিম বিক্রি করে পাবেন প্রায় ৬১ কোটি টাকা।
শখের বশে শুরু করে রঙিন মাছ চাষে ইঞ্জিনিয়ার তারেকের বাজিমাত, মাসে আয় ৫০ হাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।