রাশেদ লিমন : এক মাঠ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড। রাজধানীর মিরপুরের প্যারিস রোডের মাঠ নিয়ে তিন সংস্থার তিন বক্তব্য। ড্যাপের নকশায় মাঠটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত থাকলেও তা মানতে নারাজ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও থানায় জিডি করেছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
মিরপুরের প্যারিস রোডে একটি খোলা জায়গায় বরদ্দ দেয়া প্লট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই শুরু হয় এলাকাবাসীর আন্দোলন। পরে চলতি মাসেই বালু ভরাট করে এটি খেলার মাঠ হিসেবে ঘোষণা দেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, লাগানো হয় সাইনবোর্ড।
তবে ডিএনসিসির এত বড় সাইনবোর্ড চোখেই পড়েনি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের। কে বা কারা তাদের জমি দখল করেছে এই মর্মে পল্লবী থানায় জিডি করেছে সংস্থাটি। অথচ ড্যাপের নকশায় উল্লেখ করা আছে–এটি উন্মুক্ত জায়গা।
তবুও কীভাবে এখানে প্লট হলো জানতে মিরপুর জোন অফিসে যায় এই প্রতিবেদক। সেখানে বলা হয়, তাদেরকে না জানিয়েই প্লটের জমি উন্মুক্ত বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)-এ। অথচ ড্যাপ প্রণয়নকারী মন্ত্রণালয়ের অধীনেরই একটি সংস্থা গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
মিরপুর গৃহসংস্থান বিভাগ-২-এর ট্রেজার তালিম হোসেন শাহিন বলেন, উন্মুক্ত স্থান ও খেলার মাঠ তো এক জিনিস না। সিটি করপোরেশন যা করেছে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
নগরবিদরা বলছেন, এই মাঠ নিয়ে প্রহসনের খেলায় মেতেছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
১৯৮৭ সালের ড্যাপের পরিকল্পনায় উন্মুক্ত স্থান কীভাবে ১৯৯৫ সালে আবাসন হিসেবে বরাদ্দ হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উত্তরের মেয়র বলছেন, মাঠ বাঁচাতে এলাকাবাসীর পাশে থাকবেন তারা।
মেয়র আতিক বলেন, ‘ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক স্পষ্টভাবে আমাদের জানিয়েছেন এটি খেলার মাঠ। ড্রয়িংয়েও আছে এটি খেলার মাঠ। তাহলে কেন এটিকে প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হলো, তা বুঝতে পারছেন না তিনি।
তিনি বলেন, মিরপুর-১১ এলাকায় প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। এ এলাকায় ৬০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উন্মুক্ত স্থানটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ডিএনসিসিকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।
এদিকে বরাদ্দ পাওয়া প্লট মালিকরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। সূত্র : সময় সংবাদ
বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের পুকুর চুরি!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।