জুমবাংলা ডেস্ক : সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে গাড়ির মালিক, উবার চালক, রাইড শেয়ারিং চালক, ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন- এমন অনেকে অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য, সরকারের শর্টটাইম নোটিশের কারণে অনেক তেল ব্যবসায়ী এক রাতেই কোটিপতি হয়েছেন। কারণ একেকটি পাম্পে কয়েক লাখ লিটার তেল মজুত থাকে। পাম্পগুলো কম দামে তেল কিনেও উচ্চমূল্যে ফায়দা উঠালো।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার কারণে এর সার্বিক প্রভাব বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানা গেছে।
শাহবাগে মতিন নামের একজন পাঠাও রাইডার বলেন, তেলের দাম বেড়েছে; আমরাও ভাড়া বাড়াবো। কিন্তু এর কারণে সব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। এমনিতে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। দাম ১০-২০ টাকা বাড়ালেও একটা কথা ছিল। একেবারে এত টাকা বাড়ানো, মেনে নেওয়া যায় না।
আরেক পাঠাও রাইডার বলেন, প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছেন? কী বলবো! বাপের ঘর থেকে তো টাকা এনে বাইকের তেল ভরবো না। যাত্রীদের কাছ থেকেই বেশি ভাড়া নিয়ে পুষিয়ে নেবো।
পরিবাগ পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসা এক যাত্রী বলেন, আমি সবসময় এখান থেকেই তেল নিই। এদের তেলটা ভালো। এই যে সরকার শর্ট নোটিশে তেলের দাম বাড়ালো; এই পাম্প তো সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। এদের যে লাখ লাখ লিটার তেল স্টকে ছিল- সেটা তো আগের দামের। অথচ এরা আজ সকাল থেকে নতুন দামে তেল বিক্রি করছে। এদের মতো অনেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলো। কে এসব দেখবে বলুন?
তিনি বলেন, সবকিছুর দাম দিনে দিনে বাড়বে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু রাতারাতি জ্বালানি তেলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় তেল ব্যবসায়ীরা তো এক রাতেই কোটিপতি হয়ে গেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক রাইডার বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে এটা কীভাবে সম্ভব বলুন? ছুটির দিনে ১-২ ঘণ্টা আগে ঘোষণা দিয়ে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলো। ওই সময় তো বেশিরভাগ পাম্প বন্ধই থাকে। তাদের তেল তো আগের দামে কেনা। এদেরকে কোটিপতি বানানোর জন্যই কি এত তড়িঘড়ি করে দাম বাড়ানো? এসব নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। কিন্তু করবে কে?
কাওরান বাজারে ওবায়দুল নামের একজন রাইডার বলেন, করোনার পর থেকে চাকরি হারিয়ে বাইক চালিয়ে সংসার চালাচ্ছি। হঠাৎ তেলের দাম এতটা বাড়ানো ঠিক হয়নি। আমাদের সঙ্গে এখন যাত্রীদের গণ্ডগোল হবে নিয়মিত। এক সময় যাত্রীরা মেনে নেবেন। আমরাও মেনে নেবো, মেনে নিতে বাধ্য হবো। কিন্তু এটা তো কোনও সিস্টেম হতে পারে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টায় হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। মধ্যরাত থেকেই যা কার্যকর করা হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানানো হয়। নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।
চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।