জুমবাংলা ডেস্ক : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ৩ বছরের শিশু জিন্নাতুন নিসাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত কাপড় ব্যবসায়ী কেসমত ফকির (৬০)।
বৃহস্পতিবারম (৩০ জুলাই) সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। কেসমত ফকিরের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতেন।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, গত ১৭ মার্চ কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন দরগাপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল হোসেন টুকু মিয়ার ৩ বছরের শিশু জিন্নাতুন নিসাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান কেসমত ফকির। তার পরিচয় ও কোন ছবি না থাকায় আসামী গ্রেফতারে বেগ পেতে হয় জেলা পুলিশের।
হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে জেলা সীমান্তবর্তী এলাকা, রেল স্টেশন, বাসস্টপসহ বিভিন্ন স্থানে টহল জোরদার করা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর যশোরের অভয়নগর এলাকায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। গণমাধ্যমে আটককৃতর ছবি প্রকাশ হলে এই অপরাধীই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ শিশু জিন্নাতুন নিসা হত্যাকারী বলে নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত কেসমত ফকিরকে শিশু জিন্নাতুন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে যশোর জেলা কারাগার থেকে ঝিনাইদহ জেলায় হাজির করার জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর আদালতে হাজির করা হলে তিনি শিশু জিন্নাতুন নিসা হত্যার দায় স্বীকার করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।