জুমবাংলা ডেস্ক: নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম হালিপ্রতি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এ ছাড়া হাঁসের ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা।
জনা যায়, ‘গরিবের প্রোটিন’ হিসেবে পরিচিত মুরগির ডিম এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজারে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি ৩৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই ডিম পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি ৫০ টাকা এবং মহল্লার মুদিদোকানে খুচরা পর্যায়ে ৫৪ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৪৫ টাকা হালি দরের হাঁসের ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।
শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি সাদা কক মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ৪৬ টাকা দরে। শহরের মুদিদোকানগুলোতে এই লেয়ার মুরগির ডিমই প্রতি হালি ৫৪ টাকায়, সাদা এবং হাঁসের ডিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক রোডের একটি পাইকারি আড়ত থেকে নিয়মিত ডিম কেনেন স্কুলশিক্ষক সেলিনা খাতুন। গত শুক্রবার তিনি প্রতি হালি ডিম কিনেছেন ৩৫ টাকা দরে। সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার একই আড়তে ডিম কিনতে গেলে দাম চাওয়া হয় প্রতি হালি ৫০ টাকা।
শহরের গোলাহাট এলাকার ক্রেতা গৃহবধূ রোখসানা বেগম এক সপ্তাহ আগে এক হালি হাঁসের ডিম কিনেছেন ৪৮ টাকায়। বৃহস্পতিবার দোকানে গিয়ে দেখেন, সেই ডিম এক লাফে হালিতে ১৭ টাকা বেড়ে এখন ৬৫ টাকা।
তবে দাম বাড়লেও লাভ বাড়েনি বলে দাবি করেছেন ডিম ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর পরিবহন খরচ বেড়েছে। এ কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। আগে প্রতি হালি ডিমে যে লাভ করেছি, এখনো সেই টাকাই লাভ হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, খুব শিগগির ডিমের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যাঁরা ক্রয়মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।