লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরুর মাংস কী পরিমাণ খাচ্ছেন এবং এর সঙ্গে আর কী খাচ্ছেন— তার ওপর নির্ভর করে এর উপকারিতা এবং অপকারিতা। পুষ্টিবিদরা বলেন, এটি একটি অ্যালার্জিক খাবার। এতে উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং হিম আয়রন আছে। মাংস খেলে প্রায় ৬০ শতাংশ আয়রন শরীর শোষণ করতে পারে। এবং এটি যেহেতু হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তাই এই খাবার হজম করতে পাকস্থলির অনেক সময় লাগে।
পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকার পরামর্শ—
প্রাপ্ত বয়ষ্করা একবারে ২০ থেকে ৯০গ্রাম পর্যন্ত গরুর মাংস খেতে পারেন। কিন্তু এই পরিমাণে প্রতিবেলায় কিংবা প্রতিদিন খাওয়া যাবে না। তাহলেও ক্ষতিকর হয়ে যাবে। সপ্তাহে এক বা দুইদিন এই পরিমাণে গরুর মাংস খেতে পারেন।
টিনেজারদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এই খাবারে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আছে তাই অল্প খেলেই প্রচুর পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
যাদের হাইপ্রেসারের সমস্যা আছে গরুর মাংস তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কারণ এতে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে। আপনি যেভাবেই রান্না করেন না কেন গরুর মাংস থেকে শতভাগ খারাপ চর্বি দূর করা যায় না। সেই কারণেই কম পরিমাণে খেতে হবে।
উৎসবে অল্প পরিমাণে গরুর মাংস খেতে পারেন। এক মাসে চার বার খেতে পারেন। এর বেশি না খাওয়াই ভালো। এক বেলার খাবারে মাছ, মাংস এক সঙ্গে খাবেন না। যদি গরুর মাংস খান তাহলে শুধুই গরুর মাংস খান। এবং এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ সালাদ খান। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি হজম হবে।
যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন এবং যাদের চুল পড়ছে তারা গরুর মাংস খেলে উপকার পাবেন। বিশেষ করে গরুর কলিজা খেলে বেশি ভালো। তবে গরুর মাংস খাওয়ার সময় অন্য খাবার একই মিলে রাখবেন না। উৎসবে একদিন অথবা মাসে চার বার গরুর মাংস খেতে পারেন।
উল্লেখ্য, দুই বছরের আগে কোনো শিশুকে গরুর মাংস খেতে দেওয়া ঠিক নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।