জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা রাজশাহীর বাঘায় একদিনের ব্যবধানে ২৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় নেমে এসছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঘা বাজার মনিটরিং করতে গেলে একলাফে ৯০ টাকা কমে যায় পেঁয়াজের মূল্য।
পেঁয়াজ ক্রেতা সুলতান সরকার বলেন, এক ঘণ্টা আগে এই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। অথচ যেই-না প্রশাসনের লোকজন বাজার তদারকি করতে এসছেন সঙ্গে-সঙ্গে ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজিতে দাম কমে গেল। এটা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ছাড়া আর কিছু নয়।
তার মতে, প্রশাসনের লোকজন যদি ঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করে এবং প্রতিটা পণ্যের তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তাহলে এই সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান বলেন, রাজশাহীর অঞ্চলে যে সমস্ত এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে তার মধ্যে বাঘা উপজেলা অন্যতম। এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌর সভার সবখানেই কম-বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। এরমধ্যে প্রতিবছর সর্বত্র পেঁয়াজ উৎপাদন হয় উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্যত্র রপ্তানী হয়। কিন্তু বর্তমানে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করায় এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি রোধ করার জন্য একদিকে প্রশাসনের নজর দারি, অপরদিকে ক্রেতাদের পেঁয়াজ ক্রয় কমিয়ে আনা খুবই জরুরি।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, এই উপজেলার বাউসা এবং আড়ানী এলাকার কিছু মোনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বাড়িতে পেঁয়াজ মৌজুদ আছে এমন খবরের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সার্থক হয়েছে। আমি সোমবার বাঘা বাজার মনিটরিং করে সকল ব্যবসায়ীদের বলেছি আগামী একদিনের মধ্যে পেঁয়াজসহ প্রতিটা পণ্যের নাম লিখে চাট টাঙিয়ে দিতে। যতি সেটি না হয়, তবে ভোক্তা অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।