
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তার মাদার্স কেয়ার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকগুলোর জন্ম হয়। তাদের মা বৃষ্টি আক্তার (২১) এখন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তিনি শঙ্কা মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃষ্টি আক্তার কাপাসিয়া উপজেলার নয়ানগর গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী। মোশারফ পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সালাম তারেক বলেন, ‘সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পাঁচ মাস (২০ সপ্তাহ) গর্ভকালীন সময়ে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বৃষ্টি আক্তার। এবারই প্রথমবারের মতো অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করে তার গর্ভে পাঁচটি সন্তানের অস্তিত্ব পান চিকিৎসকরা। পরে তাকে নিরাপদে রাখতে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। এরপর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে তিনি পাঁচটি নবজাতকের জন্ম দেন। এর মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে শিশু ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জন্মের কিছু সময় পরই নবজাতকগুলো একে একে মারা যায়। মূলত অপরিণত বয়সে জন্ম হওয়ায় নবজাতকগুলো মারা যায়। বর্তমানে প্রসূতি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
বৃষ্টি আক্তার জানান, রোববার রাত থেকেই হঠাৎ তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। সোমবার সকালে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার মাদার্স কেয়ার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জহিরুন নেছা রেনুর তত্ত্বাবধানে ভর্তি করানো হয়।
বৃষ্টি আরও জানান, গর্ভধারণের পর একাধিকবার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হলে চিকিৎসকরা তার গর্ভে তিনটি সন্তান থাকার কথা জানিয়েছিলেন। গর্ভে থাকা সন্তানরা সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সোমবার পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে গর্ভে পাঁচটি সন্তান কথা জানান চিকিৎসকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



