জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সব কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করে গত সোমবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এখন থেকে এ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধকের কার্যালয়ই নাগরিকদের এনআইডি-সংক্রান্ত সব সেবা দেবে। ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেওয়ার পর গেজেট প্রকাশ হয়।
গত সোমবার থেকেই আইনটি কার্যকর হয়েছে। নতুন এ আইন কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ (২০১০ সালের ৩ নম্বর আইন) রহিত করা হয়েছে। ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির সময় থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনআইডি সেবা দিয়ে আসছিল।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিবন্ধক সরবরাহ করবেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। কোনো ব্যক্তি একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করলে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পরিচয়পত্রের কোনো তথ্য বিকৃতি বা বিনষ্ট করলে সাত বছরের জেল ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করলেও সাত বছরের জেল ও অর্থদণ্ড ভোগ করতে হবে।
গেজেটে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে প্রত্যেক নাগরিককে পরিচয় নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধকের কাছে আবেদন করতে হবে। কোনো নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাসরত ঠিকানায় নিবন্ধন করা হবে এবং সেই ঠিকানা অনুযায়ী জাতীয় পরিচিতি নম্বর দেওয়া হবে। একজন নাগরিককে নিবন্ধক শুধু একটি জাতীয় পরিচিতি নম্বর দেবেন, যা ওই নাগরিকের একক পরিচিতি নম্বর (ইউনিক আইডি) হিসেবে সর্বত্র ব্যবহৃত হবে। জাতীয় পরিচিতি নম্বরের ভিত্তিতে একজন নাগরিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
যে কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতি ও সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত, তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে নিবন্ধকের কাছে আবেদন করতে পারবেন।
আইনে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দেবেন। এ উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীন একটি আলাদা সেল থাকবে। সেই সেলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, নতুন আইন অনুসারে সব কার্যক্রম এগিয়ে নিতে যা কিছু করা দরকার, তা আমরা করব। নিবন্ধকের কার্যালয়ের জনবল ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে শিগগিরই জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।