জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন দাওয়াতে ইমানী বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী। এরইমধ্যে একটি মামলার আবেদন করা হয় আদালতে, যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
মাজার পূজা, ওয়াজে নাচ-হাস্যরসসহ নানা অভিযোগ আনা হয় এই ইসলামি বক্তার বিরুদ্ধে। কিছু শব্দের ব্যবহারের কারণে তিনি সমালোচিত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে তার ওয়াজে বলা বাক্যগুলো।
তাহেরী বলেছিলেন, দেখেন আমি ১৭ বছর ধরে ওয়াজ করি। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ঢেলে দেই’, ‘কোনো হইচই আছে?’ ‘পরিবেশটা সুন্দর না?’ এসব শব্দ বা বাক্য আমি কি অন্য সেন্সে বলতে পারি? আপনাদের বিবেক তো অবশ্যই আছে। আমি তো অন্য কোনো সেন্সে বলিনি, আমি তো উপস্থিতির আলোকেই বলবো। আমি শরীয়ত সম্মত, যেসব কুরআন সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক নয় সেসব বলবো। হয়তো বা আমরা কখনো আবেগতাড়িত হয়ে কখনো এসব দু-একটি শব্দ বলে ফেলি। অনেক সময় অনেকেই তো এরকম দু-একটা কথা বলে ফেলে- তাই বলে একেবারে ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত এটা বলা ঠিক নয়।
তবে তাহেরী এসব শব্দ, বাক্য ব্যবহার করেন না বলেই জানালেন। নতুন একটি ওয়াজ মাহফিলের ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বললেন, তিনি এখন চা খান না, কফি খান। অর্থাৎ চায়ের ‘ঢেলে দেই’ তাকে যে বিতর্কের মুখে ফেলেছিল সেখান থেকে তিনি সরে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর কিছু বক্তব্য নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুক প্ল্যাটফরম ঘাঁটলেই চোখে পড়ছে তার আলোচিত সেই উক্তিগুলো। অনেকেই নিজের ছবি ফেইসবুকে আপলোড করে তার ওয়াজে ব্যবহৃত কিছু উক্তি লিখছে।
সম্প্রতি সময়ে এই মুফতির একটি ওয়াজে দেখা গেছে, হাতে একটি চায়ের কাপ নিয়ে তাতে চুমুক দেন তিনি। এরপর বলেন, ‘কেউ কথা কইয়েন না, একটু চা খাব? খাই একটু? আপনারা খাবেন? ঢেলে দেই? মুচকি হেসে আবারও বলেন, ঢেলে দেই? … ‘ভাই পরিবেশটা সুন্দর না? কোনো হইচই আছে? আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি? কারোর বিরুদ্ধে বলতেছি? এরপরও সকালে একদল লোক বলবে, তাহেরী বালা (ভালো) না।’ বক্তব্যের মধ্যে অশ্লীল ভঙ্গিও করেন তিনি। সেই সঙ্গে নাচ-গানসহ আরও বিনোদনমূলক কথাও বলেন এই বক্তা।
এছাড়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিকিরের সময় নেচে-গেয়ে ‘বসেন বসেন, বইসা যান’ বলায় সমালোচিত হন তাহেরী।
নিচে দেখুন তাহেরীর নতুন ভিডিও :
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।