জুমবাংলা ডেস্ক: প্রতিবারের ন্যায় এবারও ২০ দিনব্যাপী ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতা বিষয়ক লেখালেখি কর্মশালার আয়োজন করেছে তামরিন ইনস্টিটিউট নামের কওমি ভিত্তিক একটি সংগঠন। প্রথম রোজা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালা রাজধানীর হাজারীবাগে মাদরাসাতুল ইনসাফের নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের প্রখ্যাত কবি, গবেষক ও লেখকরা প্রশিক্ষণ প্রধান করেন।
কর্মশালার সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কওমি মাদরাসায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে, বেড়েছে ভাষা-সাহিত্যের চর্চা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতার অঙ্গনে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসবে।
এবারের আয়োজনে অতিথি ও প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) এর মহাপরিচালক উবায়দুর রহমান খান নদভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির, গল্পকার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইমুম সাদী, কবি, দার্শনিক ও গবেষক মুসা আল হাফিজ, জাতীয় লেখক পরিষদের সভাপতি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের লেকচারার ড. শহীদুল ইসলাম ফারুকী, দৈনিক নয়া শতাব্দীর বিভাগীয় সম্পাদক আলী হাসান তৈয়ব, প্রবন্ধকার, অনুবাদক ও ভাষা প্রশিক্ষক হানিফ আল হাদী, কওমি উদ্যোক্তা’র ফাউন্ডার লেখক রোকন রাইয়ান, ইংরেজি দৈনিক দ্যা ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের যুব-আবৃত্তিশিল্পী ফরাদ হাসান প্রমুখ।
ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতা বিষয়ক লেখালেখি কর্মশালাটি পরিচালনা করেন, তামরিন ইনস্টিটিউটের সিইও ও ভাষাপ্রশিক্ষক শাহাদাত সাদমান। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভালো লেখক হতে হলে আগে ভালো পাঠক হতে হবে। সবকিছুকেই পড়তে জানতে হবে। বই পড়া, নিউজ পড়া, চারপাশের মানুষকে পড়া, মানুষদের আচরণ পড়া, প্রকৃতি ও সময়কেও পড়তে জানতে হবে। পাশাপাশি লেখা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই একজন ভালো মাপের লেখক হওয়া সম্ভব।
তাহরিম আহমাদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, দেশে কওমি শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ কম। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই কওমি শিক্ষার্থীদের ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে এই কর্মশালার অনেক ভূমিকা রেখেছে। তামরিন ইনস্টিটিউট প্রজ্ঞাবান, নিরহংকার, আন্তরিকতাপূর্ণ বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষককে একত্র করেছে যেখান থেকে জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে পারবে। এ যেন কুয়ার মাঝে সমুদ্রের স্বাদ পাওয়া।
২০ দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে আত-তামরিন নামে একটি ম্যাগাজিন ও একটি দেয়ালিকা প্রকাশ করেন। এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে ঢাকা ও মফস্বল শহরে সাহিত্যপ্রেমীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের অনেকেই এখন নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখছে, গণমাধ্যমেও যুক্ত হয়েছে কেউ কেউ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।