জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ গত অর্থবছরের চেয়ে আর্থিক ক্ষতি কমিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নিট আয় বেড়েছে প্রায় ৯ গুণ।
সারাদেশে বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬৩ মিলিয়ন। প্রতিষ্ঠানটি অর্থবছর ২০২২ এর প্রথমমার্ধে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১% লোকসান কমিয়েছে। গত বছর বিকাশের লোকসান ছিল ৭১.৯৯ কোটি টাকা তা কমে এ বছর হয়েছে ৪২.৪৬ কোটি টাকা।
২০২২ সালের জুনের শেষে স্থায়ী আমানত থেকে মোবাইলে আর্থিক সেবা খাতে বিকাশের নিট আয় দাঁড়িয়েছে ৫৯.৪৯ কোটি টাকা যা আগের বছর ছিল ৫.৮৭ কোটি টাকা। আর সবমিলিয়ে স্থায়ী আমানতও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী আমানত এক হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা।
নগদ আর্থিক লেনদেন সুবিধা, পরিষেবার বৈচিত্র্য এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক অন্যান্য বিল পরিশোধের কারণে মোবাইল আর্থিক সেবা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকাশের পে বিল থেকে যেকোনো ধরনের বিল যেমন বিদ্যুৎ বা অন্যান্য বিল ঘরে বসেই ২৪ ঘণ্টা দেওয়া যায়। বর্তমানে বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহকারী সংস্থা ডেসকো, ডিপিডিসি, বিপিডিবি, নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎসহ সব বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিকাশের মাধ্যমে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে বিকাশের মাধ্যমে এক কোটির বেশি ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।
বিকাশের পাশাপাশি অন্যান্য মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানেরও এই ধরনের সেবায় আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সরকারি বা বেসরকারি আর্থিক সহায়তা, চাকরির বেতনভাতাও বিকাশের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। যা উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েই চলেছে।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, এই বছরের প্রথমার্ধে বিকাশের মোট মুনাফা ছিল ৪১৩.৮৫ কোটি টাকা যা একই সময়ে গত বছরের চেয়ে ৩২% বেশি। আর প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা, প্রশাসনিক এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যয় করেছে ৫০২ কোটি টাকা। যার কারণে আয় হওয়া সত্ত্বেও লোকসান থেকেই যাচ্ছে।
২০২১ সালে মোবাইল আর্থিক সেবায় আয় হয়েছিল ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা। যা তার আগের বছর ছিল ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২২%।
বিকাশ জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নতুন প্রযুক্তি এবং পরিষেবা খাতে বিনিয়োগ বাড়ার ফলে লোকসান থাকছে।
বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেছেন, “ভিত্তি পর্যায়ে একটি টেকসই ব্যবসায়িক মডেল প্রতিষ্ঠা করতে বিনিয়োগের জন্য স্থির পুঁজি এবং বৃদ্ধির মানসিকতা থাকতে হয়। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, অবকাঠামো, ডিজিটালি এর প্রচার সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হয়। বিকাশ দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এই পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণ, গ্রাহক বৃদ্ধি এবং এজেন্টদের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত যোগাযোগ বৃদ্ধিতে মনোযোগী ছিল। এখন সেই বিনিয়োগের আয় লোকসান কমিয়ে আনতে সাহায্য করছে।”
বিকাশ তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী, ডেটা সায়েন্টিস্ট এবং সফ্টওয়্যার প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিয়েছে। এই অতিরিক্ত জনশক্তি নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রক এবং অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং (এএমএল) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। বিকাশের আর্থিক বিবরণীতে লোকসান হওয়া সত্ত্বেও, এটি রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সরকারি কোষাগারে অবদান রেখে চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।