ট্রাভেল ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের বিস্তার এই শতাব্দীর সবচেয়ে আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। জীবাণুটির কারণে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। বিশ্ব মানচিত্রের অর্ধেকেরও বেশি দেশ কোভিড-১৯ নভেল ভাইরাসে ভুগছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে এটি আরও ছড়িয়ে পড়ছে।
সুরক্ষার কথা ভেবে মানুষ ঘরেই নিজেদের আবদ্ধ রেখেছে এবং দেশের বাইরে ভ্রমণে যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে গণমাধ্যমসহ চারপাশে শুধু দুঃসংবাদ। এমন নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেও করোনা ভাইরাস-মুক্ত দেশ ঠিকই আছে!
এখন অবধি করোনা ভাইরাস জনিত কোনও ঘটনা দেখা যায়নি এমন কয়েকটি পর্যটন গন্তব্যের কথা বলা যাক। যদিও এসব জায়গার পরিস্থিতি যেকোনও মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। সুতরাং ভ্রমণ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে শেষ মুহূর্তের খবর রাখা ভালো।
সঠিক ব্যবস্থা ও সতর্কতা অবলম্বন করা গেলে ভ্রমণপিয়াসীরা ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি গন্তব্যে বেড়ানোর পরিকল্পনা করতে পারেন (যদিও অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সর্বত্র)।
ইউরোপ
গ্রিসের সান্তোরিনি দ্বীপ এবং মাইকোনোস দ্বীপ: চীনের পর করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ইউরোপে। ফলে এই মহাদেশে কেবল হাতেগোনা কয়েকটি জায়গা বাকি, যেখানে এখনও জীবাণুটি পৌঁছায়নি। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিসে সান্তোরিনি দ্বীপ এবং মাইকোনোস দ্বীপ। এগুলো এজিয়ান সাগরে অবস্থিত। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব দ্বীপের কোনোটিতে যদি করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়, তাহলে তা দাঁড়াবে দুঃস্বপ্নের মতো। কারণ ভূমধ্যসাগরের পর্যটন খাত ধসে পড়বে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি, স্পেন ও জার্মানিতে সর্বাধিক সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
আফ্রিকা
কেপ ভার্দে: পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলবর্তী দেশ কেপ ভার্দেতে জীবাণুটির কোনও খবর পাওয়া যায়নি (এখনও)। তাই বলা যায়, করোনা ভাইরাস এই দ্বীপ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি।
এশিয়া
বালি: ইন্দোনেশিয়ার মূল ভূখণ্ডে করোনা আক্রান্ত কয়েকজনের খবর পাওয়া গেছে। তবে দেশটিতে পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বালিতে এমন কিছু শোনা যায়নি। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস মুক্ত রয়েছে এই জায়গা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
লাওস: এখনও অবধি লাওসের ওপর করোনা ভাইরাসের ছোবল পড়েনি। তবুও চীনের সঙ্গে ভৌগলিক ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি বিবেচনা করে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কারণ চীনের উহান শহর থেকেই জীবাণুটির উৎপত্তি।
পুনশ্চ: আপাতত অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত যেসব গন্তব্যে করোনা ভাইরাস ছড়ায়নি তার ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।