জুমবাংলা ডেস্ক : পরীক্ষায় খারাপ করায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে হলি ক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী পারপিতা ফাইহা (১৪)। অভিযোগ উঠেছে, ক্লাসের গণিত শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় ওই শিক্ষক তাকে ইচ্ছা করে প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন। কিন্তু শুধু পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করায় একজন শিক্ষার্থী কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে? এর পেছনে কি পরিবার এবং সমাজের দায় নেই?
বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে যে প্রচণ্ড মানসিক চাপ দেওয়া হয়, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। পারপিতার আত্মহত্যার ঘটনায় এই বাজে সিস্টেমের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাহবুব কবীর মিলন।
তিনি নিজের পরিবারের উদাহরণ টেনে লিখেছেন, ‘প্রথম বাচ্চাকে স্কুলে দেবার পর থেকেই আমাদের দুইজনের মানসিক প্রস্তুতি ছিল, আমরা কখনোই বাচ্চাকে ভালো রেজাল্টের জন্য চাপ দেব না। রেজাল্ট খারাপ হলেও তাকে বকাবকি বা তিরস্কার করব না, বরং উৎসাহ প্রদানসহ বাচ্চাকে মানসিকভাবে বুস্টআপ করব। বাচ্চাকে চেপে ধরে আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানাবার মেশিন চালাব না। তার যেটা ভালো লাগবে, সে সেটাই পড়বে এবং করবে।’
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি আরো লিখেছেন, ‘তবে অবশ্যই তাকে ভালো মানুষ হতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো কম্প্রোমাইজ বা ছাড় নেই। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এখন পর্যন্ত সফল। কোটি শুকরিয়া আল্লাহপাকের। কিন্তু একটি বাচ্চা রেজাল্ট খারাপের জন্য বারোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, একজন বাবা হিসেবে এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। অথচ সে ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল! খুব অসহায় লাগছে। ব্যর্থ আমরা। ব্যর্থ শিক্ষা ব্যবস্থা। ব্যর্থ সিস্টেম। ব্যর্থ সমাজ। মা’রে, আমি নিচে থাকলে তোকে কোলের মধ্যে ধরে ফেলতাম।’
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.