নাথিং ফোন ওয়ান এর ডিজাইন বেশ চোখ ধাঁধানো। কার্যক্ষমতা ভালো ও অনেক ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন থেকে এটি আকর্ষণীয়। তবুও এটি আপনার ক্রয় করা উচিত হবে কিনা বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে কেননা দামসহ নানা কারণে আপনাকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।
বাংলাদেশে নাথিং ফোন ১২ জিবি ভেরিয়েন্টের দাম অফিশিয়ালি ৬৭ হাজার টাকা। আনঅফিশিয়ালিও একই রকম দাম। ভারতে ৩৩ হাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকার মধ্যে ভেরিয়েন্টগুলো পাওয়া যাচ্ছে অর্থাৎ ২৯ হাজার রুপি প্রায়। পিছনের ডিজাইন ছাড়া নাথিং ফোন ১ এ তেমন কোন চমক নেই, তার উপর অনেক সসমস্যা পাওয়া যাচ্ছে এই ফোনে।
বর্তমানে এতো দামে ফোনটি না কেনার জন্য অনেকেই রিকমেন্ড করতেছেন। যদি আপনি শুধুমাত্র পিছনের ডিজাইনের জন্য ফোনটি কিনতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে কিনতে পারেন। অনেকে অভিযোগ করতেছেন পিছনের ডিজাইনের ভিতর ময়লা ঢুকে যাচ্ছে, ক্যামেরাতে প্রবলেম দেখা দিচ্ছে। এমন আরও অনেক অভিযোগ প্রতিদিনই আসতেছে যারা ইতিমধ্যে ফোনটি ব্যবহার করতেছেন তাদের কাছ থেকে।
নাথিং ফোন ওয়ান এর দাম যুক্তরাজ্য ইউরোপের ইউনিয়নভুক্ত দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রতে বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। নতুন ব্র্যান্ড হওয়ায় তাদের রিটেইলার মার্কেটের সংখ্যা কম এবং ঠিকানায় শিপিং করা সহজ হবে না। তাদের এফসিসি সার্টিফিকেশন নেই যা আমেরিকার মার্কেটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিমা দেশে প্যাকেজ ফরওয়ার্ডিং পরিষেবা এবং ফোনটি রিসিভ করার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আপনি কোন বন্ধু বা আত্মীয়র ঠিকানায় ফোনটি পাঠাতে হলে শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ফোন বক্সের জন্যই অনেক অর্থ খরচ হবে যা খুবই ব্যয়বহুল।
কাস্টমস এবং বর্ডারে ট্যাক্স এবং প্রসেসিং ফি এর ঝামেলায় জড়াতে হতে পারে। এর ফলে আপনাকে আরো এক্সট্রা চার্জ দিতে হতে পারে যা আপনার ভালো লাগবে না।
বিভিন্ন দেশে নাথিং ফোন ওয়ান এর নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স নিয়ে দুশ্চিন্তা করার বিষয় আছে। মার্কিন সিম কোম্পানির 5g এবং LTE ফ্রিকোয়েন্সি সবসময় এটি সাপোর্ট করবে না। টি-মোবাইল এবং ভেরিজন এর ব্যান্ড এর সাপোর্ট আছে কিনা সন্দেহ আছে। এর ফলে ৫জিতে আপনি চারগুণ স্পিড কম পাবেন।
ফোনটি ক্রয় করার পরে কোন সমস্যা হলে বা ভেঙ্গে গেলে রিপেয়ার করার জন্য তাদের কোন অফিসিয়াল স্টোর এখন পর্যন্ত নেই। আপনাকে হয়তো এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে নতুন করে আরও একটি স্মার্টফোন ক্রয় করতে হবে।
আপনি যদি নাথিং ফোন ওয়ানের বিকল্প স্মার্টফোন খুজে থাকেন তাহলে নিচের ৪টি স্মার্টফোন বিবেচনা করতে পারেন।
Vivo V 20 Pro
এটির সেলফি ক্যামেরা এবং ডিজাইন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই স্মার্টফোনের মেইন ক্যামেরা ৫০ মেগা পিক্সেল। পাশাপাশি আট মেগাপিক্সেলের ডুয়েল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। এটির অনিন্দ্য সুন্দর কালার যে কাউকে মুগ্ধ করতে পারে। মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটির প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির দাম হবে ৪৫ হাজার টাকা।
Realme Gt New 3
এখানে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটির ৮১০০ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে ১৫০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ফিচার রয়েছে। এই স্মার্টফোনের কালার এবং ডিজাইন খুবই আকর্ষণীয়। এটির দাম ৪২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে।
Xiaomi 11T Pro
এই স্মার্টফোনে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগনের ৮৮৮ প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসপ্লের সাইজ ৬.৬৭ ইঞ্চি। পাশাপাশি কর্নিং গরিলা গ্লাস প্রটেকশন পেয়ে যাবেন। এর উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ১২০ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং ফিচার রয়েছে। এটার দাম ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে।
Samsung Galaxy S20 FE 5g
এটি বেশ পুরোনো মডেল হলেও স্মার্টফোন মার্কেটে এখনো বেশ জনপ্রিয়। ওয়াইড, আলট্রা-ওয়াইড এবং টেলিফটো এই তিন ধরনের ক্যামেরা ফিচার এখানে উপস্থিত রয়েছে। ওয়ারলেস চার্জিং এবং রিভার্স ওয়ারলেস চার্জিং হচ্ছে এই দুইটি ফিচার। এটি ডাস্ট এবং ওয়াটার প্রুফ স্মার্টফোন। এই মোবাইলের দাম ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু।
এই চারটি স্মার্টফোন নাথিং ফোন ওয়ানের বিকল্প হওয়ার জন্য সবথেকে মানানসই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।