জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের-এনবিআর পাঁচ উপ-কর কমিশনারকে ‘তাৎক্ষণিক’ বদলি করা হয়েছে। এদের সবাইকে আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।
বদলি করা পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে দুজন আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের, একজন এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের এবং বাকি দুজন ঢাকা ও কুমিল্লার কর অঞ্চলের। এনবিআর সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এসব কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, উপ-কর কমিশনার শাহ্ মোহাম্মদ ফজলে এলাহীকে এনবিআরের আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট থেকে ময়মনসিংহ কর অঞ্চলে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলে (সিআইসি) উপপরিচালক পদের সংযুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলামকে ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ থেকে খুলনা কর অঞ্চলে এবং মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফকে এনবিআরের প্রধান কার্যালয় থেকে বগুড়া কর অঞ্চলে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট থেকে উপ কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিলকে কুমিল্লা কর অঞ্চলে এবং কুমিল্লা কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার নুশরাত জাহান শমীকে রংপুর কর অঞ্চলে বদলি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, বদলি করা এসব কর্মকর্তাদের আজ সোমবারের মধ্যে তাদের বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে এবং আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে বদলি করা অফিসে যোগদান করতে হবে। অন্যথায়, সোমবার অপরাহ্ন (দুপুর) থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব হস্তান্তরিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এই বদলি স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটি সুপরিকল্পিত কুটপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ, যা চলমান রাজস্ব সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পক্ষের শক্তি-কে দুর্বল করার কুপ্রচেষ্টা।
এদিকে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ দুই দাবিতে আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। আজ ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে এনবিআরের সব দপ্তরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত ১২ মে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করে আসছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেয় অর্থমন্ত্রণালয়। এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি অব্যাহত রাখেন এবং এনবিআরে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান স্বাভাবিক কাজে ফিরলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এখনও তার দূরত্ব রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।