আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মরণঘাতী করোনাভাইরাসের ওপর পরিচালিত নতুন এক গবেষণা বলছে, ভাইরাসের প্রতিরোধে মানবদেহে যে এন্টিবডির উৎপত্তি হয় তা কয়েক মাস স্থায়ী থাকে। এরপর ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। তবে এন্টিবডি চলে গেলেও দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা এ দাবি করছেন।
ফক্স নিউজের বরাতে জানা যায়, এন্টিবডি হলো রক্তের সাদা কণিকা। একে বি সেল বলা হয়। মানদেহে কোনো ভাইরাস প্রবেশ করলে এই বি সেল সেই ভাইরাসকে বাধা দেয়। এরপর দেহ থেকে বের করে দেয়। এন্টিবডি মূলত দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কোনো নির্দিষ্ট একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কীভাবে কাজ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ দেয়। একবার মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তা রপ্ত করতে পারলে বাকি জীবনে সে মোতাবেক কাজ করে।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ডক্টর ওট্টো ইয়াং। তারা গবেষণায় করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠা ৩০ জনের এন্টিবডি নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন। এতে তারা দেখতে পান, সুস্থ হওয়ার পর ৭৩ দিন পর ওই ৩০ জনের অধিকাংশের দেহে অর্ধেক পরিমাণ এন্টিবডির উপস্থিতি আছে। বাকি অর্ধেকও দুই মাস চলার সম্ভাবনা আছে।
গবেষকরা বলছেন, এন্টিবডি দেহ থেকে ধীরে ধীরে চলে গেলেও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত ডেভেলপ করে। এতে করে পরবর্তীতে একজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।