এপর্যন্ত ইউক্রেনকে কী পরিমাণ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সেনা অভিযানের এক বছর পূর্তি হতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এই সংঘাত বিশ্ব বাজার ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্ষতি হয়েছে ট্রিলিয়ন ডলারের।
সেই ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ইউক্রেনের অর্থ ও সামরিক ক্ষেত্রের একটা উল্লেখযোগ্য যোগান আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো থেকে।
চলতি সপ্তাহেও ঝটিকা সফরেও ইউক্রেনকে আরও ৫০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে রুখতে কিয়েভকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বাইডেন ইউক্রেনকে যে সামরিক সহায়তার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, তার আগেই দেশটিকে আরো প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত সহায়তার মধ্যে ৪৬.৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা, যা অন্য যেকোনো দেশের দেওয়া সাহায্যের চেয়ে বেশি। সামরিক সহায়তার অঙ্কে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য (৫.১ বিলিয়ন ডলার); এবং তারপর ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (১০.২ বিলিয়ন ডলার)।
মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির হিসেব করলে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যয়কারী দেশ নয়।
এক্ষেত্রে তালিকার শীর্ষে এস্তোনিয়া। পূর্ব ইউরোপের দেশটি তাদের জিডিপির ১.১ শতাংশের সমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েল ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে, বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র তার জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
অবশ্য প্রতি ডলারের হিসাব করলে, ইউক্রেনকে ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে। কিন্তু জিডিপি অনুপাতে দেশটি রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।