চীনের মুদ্রা ইউয়ান বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় কারেন্সির মধ্যে একটি। বর্তমানে মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে চীনের মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে। অতীতে এ সুযোগ না থাকলেও অনেক প্রচেষ্টার পর তা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বরা দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে নিজস্ব মুদ্রায় মাস্টারকার্ড ব্যবহার করার সুযোগ পাবে ব্যবহারকারীরা।
চীনের সকল ধরনের আর্থিক কর্মকাণ্ড মাস্টার কার্ড দিয়ে পরিচালনা করা যাবে। তবে বিশ্বের সবথেকে বেশি ডিজিটাল ট্রানজেকশন ভারতে হয়ে থাকে। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন অভ্যস্ত। ২০২২ সালে প্রায় তিন কোটির সমপরিমাণ ডিজিটাল লেনদেন ব্রাজিলে সম্পন্ন হয়েছিল। এ তালিকার দ্বিতীয় স্থান অবস্থান করছে ব্রাজিল। আর চীন অবস্থান করছে এ দুটি দেশের পরেই অর্থাৎ তৃতীয় স্থানে।
ক্যাশলেস সমাজের দিকে অগ্রসর হচ্ছে পাওয়ার হাউজ দেশ। বর্তমানে দেশটির ৯০ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ অনলাইন ট্রানজেকশনের নানা মাধ্যম ব্যবহার করছেন। ৪৪ কোটি ৪০ লাখের বেশি অনলাইন শপিং মল এবং আউটলেটে অনলাইন পেমেন্টের সুযোগ রয়েছে মাস্টারকার্ড দিয়ে।
চীনে বার্ষিক মোট পেমেন্টের সাড়ে ৮৭ শতাংশই হয় এর মাধ্যমে যেখানে সবচেয়ে বড় অংশীদার দুই বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আলিবাবার আলি পে এবং টেনসট এর ডিজিটাল ওয়ালেট উই চ্যাট। চীনে অনলাইনের মোট লেনদেনের ৯১ শতাংশই হয় এই দুই মাধ্যমে। এই বাজারে প্রবেশের জন্য তিন বছরের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছিল মাস্টার কার্ড।
আগের নিয়ম অনুযায়ী চীনের মুদ্রা ইউয়ানে পেমেন্ট করতে হলে ইউনিয়ন পে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক ছিল। আর মাস্টার কার্ড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যেত শুধু মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে। চীনের বাজার অনেক বড় হওয়ার কারণে মাস্টার কার্ডের বেশ সুবিধা হল। ডলার বাদ দিয়ে মাস্টার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা যাবে এবং অর্থ লেনদেন করা যাবে। বড় বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পাবে মাস্টার কার্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।