বিনোদন ডেস্ক : দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। মডেলিং ও অভিনয়ে সপ্রতিভ মিথিলা সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমায়। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিতব্য এ ‘কাজলরেখা’ সিনেমায় প্রথা ভাঙবেন মিথিলা। তাকে দেখা যাবে নেতিবাচক চরিত্রে।
তার ভাষ্যে, ‘সবসময় এমন চরিত্রে কাজ করতে চেয়েছি যে চরিত্রে মানুষ আমাকে ভাববে না। টেলিভিশনে এত বছর যে চরিত্র করেছি তার চেয়ে এ চরিত্রটি আলাদা।’
মিথিলা আরও জানান, ‘প্রায় দুই বছর আগে গল্পটি শোনান নির্মাতা। তখন কঙ্কন দাসী চরিত্রটিই পছন্দ হয়। এটি এন্টাগনিস্ট (নেতিবাচক) চরিত্র। এমন চরিত্রে এবারই প্রথম কাজ করছি। সেলিম ভাইয়ের সাথেও প্রথম কাজ।’
জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর আগেকার কাহিনি তুলে ধরা হবে ছবিতে। সে সময় পুতুল খেলার বয়সে মেয়েদের বিয়ে হতো। কাজলরেখার বয়স যখন নয়, তখন তৈরি হয় নতুন এক গল্প।
মিথিলা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে সিনেমার কাহিনি। এককালে মানুষের মুখে মুখে এ কাহিনি শোনা যেত। পুরানো গল্প হলেও বাঙালি তার সাথে পরিচিত। সিনেমাটির প্রতি দর্শকের বাড়তি আগ্রহ থাকবে সন্দেহ নেই। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমারও অভিনয়ের প্রতি বাড়তি মনোযোগ থাকবে। তা ছাড়া এ চরিত্রে অভিনয়ের অনেক সুযোগ আছে। কঙ্কন দাসী একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও বুদ্ধিমতী। এমন চরিত্রে অভিনয় করা চ্যালেঞ্জিং। চরিত্রটির গভীরতা অনেক।’
‘কাজলরেখা’য় আরও অভিনয় করবেন শরীফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ইরেশ যাকের প্রমুখ। এপ্রিলে ২০১৯-’২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পাওয়া ছবিটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। ছবিটির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন নির্মাতা নিজেই।
এদিকে মিথিলা কলকাতায় কয়েকটি সিনেমায় কাজ করার পর যুক্ত হয়েছেন ওয়েব সিরিজে। ‘মন্টু পাইলট’ ওয়েব সিরিজের সিজন ২-তে দেখা যাবে তাকে। এটি পরিচালনা করেছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। ইতোমধ্যে সিরিজটির শুটিং শেষ করেছেন তিনি।
ঢালিউডে মিথিলা এর মধ্যে শেষ করেছেন অনন্য মামুনের ‘অমানুষ’ ও অরুণ চৌধুরীর ‘জলে জ্বলে তারা’ ছবির কাজ। দুটি ছবিই মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কলকাতায় করেছেন ‘মায়া’, ‘অ্যা রিভার ইন হ্যাভেন’, ‘নীতিশাস্ত্র’ ও ‘আয় খুকু আয়’ ছবির কাজ।
অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখিও করছেন মিথিলা। গত বইমেলায় প্রকাশিত হয় ‘আইরা আর মায়ের অভিযান : তানজানিয়ার দ্বীপে’। এ বছর প্রকাশ পেয়েছে ‘আফ্রিকায় সিংহের খোঁজে’।
মিথিলা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মেয়ে আইরাকে নিয়ে বহু দেশ ঘুরেছি। আমরা তানজানিয়ায়ও গিয়েছিলাম। সেখানকার সাফারি পার্কে সিংহের খোঁজে ঘুরতে গিয়ে অনেক পশু-পাখির দেখা পেয়েছি। সেই অভিজ্ঞতাই তুলে ধরেছি এতে। বইটি মূলত শিশুদের জন্য।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।