এবার বরই চাষে রড মিস্ত্রি লিটনের বাজিমাত! দেখছেন দিনবদলের স্বপ্ন
জুমবাংলা ডেস্ক: বর্তমানে রড মিস্ত্রি লিটনের বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় বরই ধরেছে। এবছর প্রায় ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রির আশা করছেন তিনি। পেশায় একজন রড মিস্ত্রি হলেও কৃষি প্রতি তার টান রয়েছে। কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী বরই চাষ করে সফল হয়েছেন নওগাঁর রড মিস্ত্রি লিটন হোসেন। মাত্র ১২ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি এই সফলতা পেয়েছেন।
বরই চাষি রড মিস্ত্রি লিটন নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের মকমলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারীতে ৫০০টি কাশ্মীরি ও ৫৫০টি বল সুন্দরী জাতের চারা এনে ৭ বিঘা জমিতে রোপণ করেন। মাত্র ১২ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরিচর্যায় সফলতার দারপ্রান্তে পৌছেছেন। বকর্তমানে তার ৭ বিঘা জমিতে রোপন করা প্রতিটি বরই গাছে থোকায় থোকায় বরই ধরেছে। তার এমন সফলতা দেখে আশেপাশের অনেকেই বরই চাষে আগ্রহ হচ্ছেন। দেখতে আপেলের মতো। খেতেও সুস্বাদু।
চলতি মৌসুমে জেলায় বরইয়ের আবাদ হয়েছে ৪৫৩ হেক্টর জমিতে। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৫৫০ টন। আগামীতে এ জাতের বরইগুলোর বাগান আরও বাড়বে পাবে বলে মনে করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
বরই চাষি লিটন হোসেন বলেন, আমি আগে রড মিস্ত্রির কাজ করতাম। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও টিভিতে দেখে বরই চাষে আগ্রহী হই। তারপর একজন থেকে ৮ বছরের জন্য ৭ বিঘা জমি লিজ নেই। গত বছরের ফেব্রুয়ারীতে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৫০০টি কাশ্মীরি ও ৫৫০টি বল সুন্দরী জাতের চারা এনে ৭ বিঘা জমিতে রোপণ করি। চারাগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। চারা রোপণের পর পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে মশারি জালের বেড়া দেয়া দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বরই চাষে গাছের গোড়া পরিষ্কার, স্প্রে করা, সার দেয়া, সেচ, ওষুধ ও শ্রমিকসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। ৭ জন শ্রমিক আছে, তাদের মসিক ও ঘণ্টা চুক্তি হিসেবে পারিশ্রমিক দিতে হয়। গাছে ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে ৩৫-৪০ কেজি করে বরই পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে ১৪০০ টাকা মণ দরে ৪ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। আশা করছি ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো। এতে ৬-৭ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি। আগামী ৩ মাস বরই বিক্রি করতে পারবো।
কৃষক হোসেন আলী বলেন, আমরা সাধারনত শিম, বেগুন, লাউ, আলুর আবাদ করে থাকি। বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষের কথা আগে ভাবিনি। লিটন ৭ বিঘা জমিতে বরই চাষ করে লাভবান হয়েছেন। আগামীতে আমিও বরই চাষ করবো।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন আলী বলেন, নওগাঁ জেলার মাটি বিভিন্ন সবজি সহ বরই চাষের জন্য উপযোগী। এই জাতের বরই ফলন বেশি হয় এবং দাম ভালো পাওয়া যায়। বরই চাষে লিটন সফল হয়েছেন। আমরা কৃষকদের কাশ্মীরি ও বল সুন্দরী বরই চাষের পরামর্শ দিচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।