রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ জালিয়াতি করে জাতীয় পরিচয়পত্রে পরিবর্তন করেছেন নিজের নাম-বয়স। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ইসির কর্মকর্তারাও। তদন্তের মাধ্যমে তাদের বের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। এদিকে, সাহেদের আইডি কার্ড বাতিল করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
প্রতারণা আর জালিয়াতিই যেন তার আদ্যপান্ত। নাম ছিল সাহেদ করিম। পরিবর্তন করে হয়ে যান মোহাম্মদ সাহেদ।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বলছে, গত বছরের মে মাসে নিজের নাম এবং বয়স পরিবর্তন করার আবেদন করেন তিনি। দলীল হিসেবে জমা দেন, শুধু জন্মসনদ আর ইংলিশ মিডিয়ামের সার্টিফিকেটের ফটোকপি। শুধু এ দুটি কাগজের ওপর ভিত্তি করে নিয়মের বাইরে গিয়ে পরিবর্তন করে দেয়া হয় সাহেদের আইডি কার্ড। এই জালিয়াতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জড়িত কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এই কাজটা যেহেতু ফিল্ড লেভেলের লোকেরা করে থাকে; তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে এই কাজটি করা হয়ে থাকতে পারে। এটা আমাদের নজরে আসার সাথে সাথে তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রমাণ সাপেক্ষে এনআইডি জালিয়াতির জন্য সাহেদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেবে ইসি। এরইমধ্যে ব্লক করে দেয়া হয়েছে সাহেদের পরিচয়পত্র।
এ দিকে শূন্য থাকা পাঁচটি সংসদীয় আসনের কোনোটিতেই এই মুহূর্তে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানান কমিশন সচিব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।