করোনা টেষ্ট না করে এবং ভূয়া সনদ প্রদান করে প্রতারনার মাধ্যমে একটি চক্র হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা। এই চক্রের মধ্যে অন্যতম একজন সাহেদ করিম। করোনা টেষ্টের জালিয়াতির মধ্যে দিয়ে প্রকাশ্যে উঠে এসেছে প্রতারক সাহেদের নানা অপকর্ম। তিনি শুধু করোনার টেষ্টেই নয় আরোও নানা ধরনের অনিয়মের সাথে জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৯টি মামলা। প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করেছে এবং বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছে প্রতারক সাহেদ করিম। এই রিমান্ডে একে একে করে অনেক তথ্য উঠে আসছে।
র্যা/বের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শাহেদের বিরুদ্ধে জমা হচ্ছে অভিযোগের পাহাড়। এদিকে গত মধ্যরাতে উত্তরা এলাকায় শাহেদকে নিয়ে অভিযানে বের হয় মহানগর পু/লি/শে/র গোয়েন্দা শাখা। অভিযানে একটি পরিত্যক্ত গাড়ি, পি/স্ত/ল, মা/দ/কদ্র/ব্য উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় অ/স্ত্র ও মা/দক/দ্র/ব্য আইনে নতুন করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর তদন্তকারী সংস্থার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু/লি/শে/র হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে শাহেদ করিমের। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে নিয়ে শনিবার মধ্যরতে উত্তরা জনপদ রোডে অভিযান নামে সংস্থাটি। অভিযানে একটি পরিত্যক্ত গাড়ি, বিদেশি পি/স্ত/ল/সহ মা/দক/দ্র/বের মজুদ উদ্ধার করে ডিবি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় অ/স্ত্র ও মা/দ/ক আইনে ভিন্ন দুটি মামলা দায়ের করে সংস্থাটি।
ডিবি এডিসি নাদিয়া ফারজানা বলেন তার বর্ণনা মত জায়গায় গিয়ে শাহেদ যে গাড়ি ব্যবহার করতেন সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। এবং গাড়ির পেছনের সিট থেকে একটা পি/স্ত/ল তিনি নিজেই বের করে দেন। সবশ্রেণির মানুষই ছিলো শাহেদের প্রতারণার লক্ষ্য। তাই বুধবার সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে র্যাবের হাতের গ্রেপ্তারের পর শাহেদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কাছে দ্বারস্ত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এই যেমন, ঠিকাদারি কাজে বালু সরবরাহের পর শাহেদ করিম এক ব্যবসায়ীর অর্ধ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। করেছেন চেক জালিয়াতি। র্যাবের গণমাধ্যম শাখা বলছে, শাহেদের প্রতারণার অভিযোগ জানাতে যে হটলাইন নম্বর খোলা হয়েছে তাতে শনিবার পর্যন্ত ৯২ টি অভিযোগ এসেছে। তদন্তে সহায়তা জন্য প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান র্যাবের ল্যাফটেন্যান্ট কর্ণেল আশিক। রিজেন্ট কেলেঙ্কারির পর এ পর্যন্ত উত্তরা পশ্চিম থানায় ৭টি ও মিরপুর পল্লবী থানায় শাহেদের বিরুদ্ধে ৬টি আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতারক সাহেদ বিভিন্ন পরিচয়ে অসংখ্য মানুষের সাথে নানা ধরনের প্রতারনা করেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি প্রতারনায় তার নিজ আত্মীয় স্বজনদেরও ছাড় দেয়নি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। প্রতারক সাহেদ করিমের সকল অপরাধ কর্মকান্ডের জন্য অবশেষে তাকে বিচারের সম্মুখীন করেছে প্রসাশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।