আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাচনে তিনি হেরে যাবেন, সম্প্রতি নিজেই এমনটাই জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঋষি সুনাক। প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসের কাছে তিনি যে ক্রমেই ‘আন্ডারডগ’ হয়ে উঠছেন, সেকথা ফের পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এক রিপোর্ট থেকে। যে রিপোর্টের দাবি, ট্রাসের ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। এর মধ্যেই প্রাক্তন প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিদ জাভিদের সমর্থনে জয় করলেন ট্রাস।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’কে এক বেটিং সংস্থা ‘এসমার্কেটসে’র তরফে জানানো হয়েছে, যা পরিস্থিতি তাতে ঋষির ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ। তাদের হিসাব বলছে, যখন প্রথন লড়াইটা দ্বিমুখী লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছিল তখন ট্রাস এগিয়ে ছিলেন ৬০-৪০ হিসেবে। কিন্তু পরে যত সময় এগিয়েছে ততই তিনি দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছেন। সংস্থার প্রধান ম্যাথিউ শ্যাডিক জানিয়েছেন, ‘অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ঋষি সুনক অনেক যোগ্য প্রার্থী। কিন্তু ট্রাসের ডিবেট পারফরম্যান্স প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’
এর মধ্যেই সাজিদ জাভিদের সমর্থন পাওয়ার পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লিজ ট্রাসের সম্ভাবনা বেড়েছে এবং জরিপগুলো পরামর্শ দিয়েছে যে, তিনি ঋষি সুনাকের উপর বিশাল নেতৃত্ব পেয়েছেন। কনজারভেটিভহোম ওয়েবসাইটের একটি সমীক্ষা তাকে ৩২ পয়েন্ট এগিয়ে রাখার আগে পররাষ্ট্র সচিব পার্টি সদস্যদের ইউগভ জরিপে সুনাকের চেয়ে ৩৪-শতাংশ পয়েন্ট লিড জিতেছেন।
প্রধানমন্ত্রিত্বের নির্বাচন শুরু হওয়ার পরে প্রত্যেক ধাপেই এগিয়ে ছিলেন ঋষি। সাংসদদের মধ্যে ভোটাভুটির প্রত্যেক রাউন্ডেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যত সময় এগোচ্ছে, ততই পিছিয়ে পড়ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন বরিস জনসন। কিন্তু গত দু’বছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন। অবশেষে দলীয় বিদ্রোহে গদি ছাড়তে হয় তাকে। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, ব্রিটেনের মসনদে এরপর কে বসবেন তা নিয়ে। সূত্র: ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।