স্পোর্টস ডেস্ক : অনুশীলনের শুরুতে কাল খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার আগে মাঠে প্রবেশ করলেন এনামুল হক বিজয়। এসেই পুনের উইকেট দেখলেন গভীর মনোযোগ দিয়ে। দুপুরে বাংলাদেশ দল পুনে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুশীলনে অবশ্য বিজয়কে খুব বেশি সক্রিয় দেখা গেল না। হালকা ব্যাটিং করলেন বা কম ব্যাটিং করার সুযোগ পেলেন নেটে। বাকিটা সময় আইসিসির শুটিং করেই কাটল তাঁর।
এই ছবি দেখে অনুমান করা কঠিন যে কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে আদৌ সুযোগ পাবেন কি না বিজয়। সাকিব আল হাসানের চোট তাঁকে সুযোগ করে দিয়েছে আট বছর পর বিশ্বকাপে আসার। দলের এমন ‘ইমার্জেন্সি কলে’ বিজয়ের উড়ে আসার উদাহরণ এটাই প্রথম নয়। গত এশিয়া কাপের আগমুহূর্তে লিটন দাস অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। দলীয় সমন্বয়ের কারণে প্রায় পুরো টুর্নামেন্টে ছিলেন বসে। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেছিলেন মাত্র ৪ রান।
আবারও দলের জরুরি ডাকে মাত্র এক ম্যাচের জন্য বিশ্বকাপে এসেছেন বিজয়। এই পরিস্থিতিতে একজন খেলোয়াড়ের কী লক্ষ্য থাকতে পারে? ঢাকা থেকে উড়ানে চড়ার আগে পরশু সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘শেষ ম্যাচের জন্য বিশ্বকাপে যাচ্ছি, এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় বিষয়। একটা ক্যাচ ধরে হোক, ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেয়ে হোক, দলে যতটা পারি অবদান রাখতে চাই।’
বিজয়কে বারবার এভাবে জরুরি ডেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা হয় বিসিবির নির্বাচনপ্রক্রিয়া। তাঁকে যদি সুযোগই দিতে হবে, তাহলে দলের কোনো কন্ডিশনিং ক্যাম্পে কেন রাখা হয় না? একজন খেলোয়াড় খেলছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ম্যাচের জন্য। বারবার সুযোগের সদ্ব্যবহার না করতে পারা বিজয়কেই যদি দরকার পড়ে, তাতে পরিষ্কার—বাংলাদেশ দলের বেঞ্চ কতটা দুর্বল, বিসিবির পাইপলাইন কতটা দুর্বল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।