পার্ক দে প্রিন্সে প্রথমার্ধ ছিল একেবারে নিস্পৃহ—গোলহীন, ছন্দহীন। কিন্তু বিরতির পর যেন নতুন রূপে হাজির হলো দিদিয়ের দেশঁমের ফ্রান্স। দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে চার গোল করে উড়িয়ে দিল ইউক্রেনকে, আর এর সঙ্গে নিশ্চিত হলো গত আসরের ফাইনালিস্টদের বিশ্বকাপের টিকিট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের বাঁক বদলে দেয় একটি ঘটনা। বক্সের মধ্যে মিখায়েল ওলিসেকে ফাউল করলে পায় স্পট কিক। কিলিয়ান এমবাপ্পে শান্তভাবে এগিয়ে এসে অ্যানাটোলি ট্রুবিনকে ছলনায় ফেলেন—গোলরক্ষক ডানদিকে ঝাঁপ দিলে তিনি নরম প্যানেনকা শটে বল পাঠান মাঝ বরাবর। ৫৫ মিনিটেই ফ্রান্স ১–০তে এগিয়ে যায়।
এর ঠিক আগেই সুযোগ পেয়েছিল ইউক্রেনও। উপামেকানোর চ্যালেঞ্জে প্রথমে খেলা চালিয়ে যেতে বললেও পরে ভিএআর মনিটর দেখে সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখেন রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ। ফলে পেনাল্টির ডাক মেলেনি তাদের। এই হারানো সুযোগের হতাশা কাটিয়ে ওঠার আগেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দৃঢ়ভাবে চলে যায় ফরাসিদের হাতে।
এরপর এমবাপ্পে আরও দুটি সুযোগ নষ্ট করলেও একটুও শিথিল হয়নি ফরাসি আক্রমণ। ৭৬ মিনিটে এন’গোলো কান্তের সুনিপুণ থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ কার্ভ শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওলিসে।
৮৩ মিনিটে আসে এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোল—ঘন জটলার মাঝে কাছ থেকে আলতো টাচে বল জালে জড়ান তিনি। ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল, দেশের হয়ে ৫৫তম—ওলিভিয়ে জিরুর ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড থেকে এখন মাত্র দুই ধাপ দূরে পিএসজি তারকা।
শেষ মুহূর্তে এমবাপ্পে দেখালেন নিখাদ উদারতা। বক্সে খুলে যাওয়া জায়গায় বল বাড়িয়ে দিলেন হুগো একিতিকে। লিভারপুল ফরোয়ার্ডের নিচ দিয়ে নেওয়া শট ট্রুবিনের পায়ের ফাঁক গলে জালে ঢুকে নিশ্চিত করে ফ্রান্সের ৪-০ জয়।
দ্বিতীয়ার্ধের আধিপত্য, তারকার ঝলক আর গোলের চেইন—সব মিলিয়ে ফ্রান্স দেখাল কেন তারা বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট। ইউক্রেনের হতাশার রাতে ফরাসিরা পেল দারুণ উৎসবের উপলক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



