জুমবাংলা ডেস্ক: বিএসইসি’র উদ্যোগে জাপানি বিনিয়োগে ঘুরে দাঁড়ানো এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
তাদের অভিযোগ, একটি মৃতপ্রায় কোম্পানিকে নতুন ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার পর একটি মহল কোম্পানিটির ভাবমূর্তি ও শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে সংবাদমাধ্যমকে প্রভাবিত করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে।
এমারাল্ড অয়েল অধিগ্রহণকারী মিনোরি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন বলেছেন, ‘একটি মৃতপ্রায় কোম্পানিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণায় একটি পক্ষ হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতির চেষ্টা করছে। আমরা এ ধরনের পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নিয়ে একটি অনলাইন পোর্টাল ১৯ জুলাই ‘নিলামে উঠছে এমারাল্ড অয়েল, কোন পথে যাবে বিনিয়োগকারীরা!’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করে।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘পোর্টালটির প্রতিবেদক তথ্যের যাচাই বাছাই ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করেন যা কোম্পানির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেদক একটি কুচক্রীমহলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলেই সংবাদটি প্রকাশ করেন। সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এমারাল্ড কর্তৃপক্ষ।’
প্রতিবাদ লীপিতে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক ও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ৫ বছর আগে পালিয়েছে কোম্পানিটির সাবেক পরিচালনা পর্ষদ। দীর্ঘ ৫ বছর যাবত কোম্পানিটির উৎপাদন ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর কোম্পানির সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের কথা বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মিনোরি বাংলাদেশকে এর দায়িত্ব তুলে দেয়।
পাশাপাশি সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান করে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় কোম্পানিটিতে। বাকি চার পরিচালকের মধ্যে রয়েছেন বিআইবিএমের ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার ও সজীব হোসেন এবং ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব।
মিনোরি বাংলাদেশ দায়িত্ব পাওয়ার পর এমারাল্ড অয়েলকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনে। এছাড়া বিগত ৫ বছরের এজিএম সম্পন্ন করে। এবং সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের মাঝে ২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করে। পাশাপাশি ব্যাংক এশিয়ার কাছে কোম্পানির জমি বন্ধক থাকার বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয় এবং ব্যাংক ঋণ শোধের ব্যাপারে মিনোরি বাংলাদেশ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এছাড়া বেসিক ব্যাংকের ঋণের বিষয়ে ব্যাংকটির সঙ্গে এমারাল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে। এ উদ্যোগে সহযোগিতা করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এমারাল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঋণ পরিশোধে বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। বেসিক ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। সাবেক পরিচালনা পর্ষদ ঋণের টাকা আত্মসাৎ করে দেশ ত্যাগ করেছেন। এমন অবস্থায় জাপানি বিনিয়োগকারী মিনোরি বাংলাদেশ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা চলমান রেখেছে। এছাড়াও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে মিনোরি বাংলাদেশ।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘এমারাল্ড অয়েলের রাইস ব্র্যান তেল জাপানে রপ্তানির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে মিনোরি বাংলাদেশ। কোম্পানির এমন উন্নতি সাধনে হিংসার বশবর্তী হয়ে একটি মহল সাংবাদিকদের ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে এমন হীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। এই ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এমারাল্ড কর্তৃপক্ষ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।