যে বিমানে করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ সফর করেন তা কোনও দুর্গের থেকে কম নয়। জো বাইডেনের এই বিশেষ বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নেওয়া যাক। বোয়িং ৭৪৭-২০০বি সিরিজের একটি বিমানের অত্যন্ত কাস্টমাইজড ফর্ম হল এয়ারফোর্স ওয়ান। নীল-সাদায় রং করা এই বিমানের গায়ে ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা’ লেখা রয়েছে বড় বড় হরফে। এবং প্রেসিডেন্টের সিল আছে বিমানের গায়ে আর আছে আমেরিকার পতাকা।
একে বিমান না বলে উড়ন্ত দুর্গ বলাই শ্রেয়। তিনভাগে ভাগ করা আছে বিমানের অন্দরমহল। যার সব মিলিয়ে এলাকা চার হাজার বর্গ ফুট। যার সিংহভাগ প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির জন্য বরাদ্দ। তাতে আছে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ডাইনিং রুম এবং কনফারেন্স রুম। এ ছাড়াও বিমানে সিনিয়র সদস্যদের জন্য আলাদা অফিস রুম আছে।
বিমানের ভিতরে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ডাইনিং রুম ছাড়াও আছে আরও একটি খাবার জায়গা। যেখানে অন্যান্য সদস্যরা একসঙ্গে ১০০ জন বসে খেতে পারেন। সিনিয়র সদস্য এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিমানের কর্মীদের জন্য আলাদা বসার জায়গাও আছে।
এই বিমানের জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা এতটাই যে, সারা বিশ্বে চক্কর দিতে পারবে। প্রয়োজনে মাঝ আকাশেই উড়ন্ত অবস্থায় জ্বালানি ভরেও নিতে পারবে। অন্য বিমানের মতো জ্বালানি ভরতে অবতরণের কোনও প্রয়োজনই নেই। প্রেসিডেন্টের বিমানের সুরক্ষা ব্যবস্থাও ততটাই শক্তপোক্ত। ঠিক যেন কোনও দুর্গ। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পালস্-এর বিরুদ্ধেও সহজেই রুখে দাঁড়াতে পারবে এই বিমান।
অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে বিমানে। ফলে যে কোনও সময়ে বিমানে বসেই হোয়াইট হাউসকে জরুরি নির্দেশ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট। বিমানের গতিবিধির উপর আলাদা করে সব সময়ই হোয়াইট হাউস নজরও রাখতে পারে। এয়ার ফোর্স ওয়ান একসঙ্গে ২৬ জন ক্রিউ সদস্য-সহ মোট ১০২ জন যাত্রীকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সমস্ত যাত্রীর জন্যই বিমানে আলাদা শোওয়ার ব্যবস্থা আছে। বিমানে সবসময় মজুত থাকে চিকিৎসক এবং প্রেসিডেন্টের জন্য রক্ত। রাস্তায় চলার সময় প্রেসিডেন্টের গাড়ির আগে-পিছু যেমন আরও অন্য গাড়ি থাকে কনভয়ে। তেমন সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টের বিমানের আগেও কিছু কার্গো প্লেন থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।