সামনে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে সম্ভবত ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। এরকম কিছু জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এজন্য আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের টিকে থাকতে হলে অর্থনীতিতে বৈচিত্র নিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক পণ্য মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
শিল্প কারখানায় যেন ব্যাপক উৎপাদন অব্যাহত থাকে সে কারণে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করাটা দরকার। বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানা ভালো পর্যায়ে রয়েছে। তাদের মাধ্যমে দেশ ২.৫ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি করতে পারে। আমাদের দেশে হাজার হাজার প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানা রয়েছে। শুধুমাত্র প্লাস্টিক তৈরির কারখানা থেকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে 29 শতাংশ। বেকারত্ব সমাধানে এ ধরনের কারখানা ভালো কাজ করছে।
সার্ক চেম্বারের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সরকারের যেটি দরকার সেটি হলো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, আমাদের জ্বালানি সক্ষমতা, জ্বালানির প্রাপ্যতা এবং লো কস্ট। এই জায়গাগুলো যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমি মনে করি, কোনোভাবেই বাংলাদেশকে কেউ দমাতে পারবে না।’
সম্ভাবনাময় এ খাতকে পরিবেশ উপযোগী করে, খারাপ প্লাস্টিক নিশ্চিহ্ন করতে কাজ করবে সরকার। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘ব্যাড প্লাস্টিক আমরা রহিত করব, আমরা এটাকে অগ্রসর হতে দেবো না এবং এটাকে নিশ্চিহ্ন করার প্রচেষ্টা চালাবো। কিন্তু গুড প্লাস্টিকের সাথে আমরা বাস করব। দায়িত্বশীলতার সাথে আমরা প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার করার প্রচেষ্টা চালাবো।’
উপদেষ্টা জানান, এলডিসি উত্তরণের পর কোনো প্রণোদনা দেবে না সরকার। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে টিকতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে উদ্যোক্তাদের। শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘যেসব জায়গায় কমপারেটিভনেস আমাদের আনা দরকার, আমি উদ্যোক্তাদের উদাত্ত আহ্বান জানাবো যে আপনারা এখানে ইনভেস্ট করেন। কারণ ভবিষ্যতে কমপারেটিভনেস না থাকলে দারুণ বিপদে পড়ে যাবেন।’ ৪ দিনের প্লাস্টিক পণ্য মেলায় রয়েছে দেশি-বিদেশি আট শতাধিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।