আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভিনগ্রহের প্রাণী ও অজানা উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও) নিয়ে একটি ঐতিহাসিক প্যানেল ডেকেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। তাদের মতে, এই বিষয়ক রহস্যময় ঘটনাগুলো সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে তদন্তের দাবি রাখে।
বুধবার এ বৈঠকের শুরুতে রিপাবলিকান টিম বার্চেট বলেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা ছোট সবুজ মানুষ বা উড়ন্ত সসারকে শুনানিতে আনতে চায় না। আমরা শুধু তথ্য পেতে যাচ্ছি।
দুই ঘণ্টার ব্যবধানে, তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী এমন সব বস্তুর সাথে তাদের দেখা হওয়ার ঘটনা শেয়ার করেন, যা পদার্থবিদ্যাকে অস্বীকার করে এবং পাইলটরা যা নিয়ে কথা বলতে ভয় পান।
এসব উড়ন্ত যান থেকে জৈবিক উপাদান উদ্ধার এবং হুইসেলব্লোয়ারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সকলেই স্বীকার করেছেন যে, এসব অস্বাভাবিক ঘটনা একটি সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি।
তবে শুনানিতে কোনও বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া যায়নি। এলিয়েন জীবনের কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে একথা সত্য যে সাক্ষীরা কংগ্রেসের সামনে একটি বড় শুনানি পেয়েছিলেন তা উল্লেখযোগ্য ছিল। আইনপ্রণেতা এবং সাক্ষীরা সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এসব ঘটনার ব্যাপারে আরও পরিষ্কার তথ্যের দাবি জানান।
অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন নৌবাহিনীর কমান্ডার ডেভিড ফ্রেভার আবার ২০০৪ সালে একটি ‘টিক-ট্যাক’ আকৃতির ইউএফএ-এর সাথে তার মুখোমুখি হওয়ার কথা বর্ণনা করেন, সেটি এমনভাবে চলে গিয়েছিল যা বিমানচালকদের বিস্মিত করেছিল। যার ফুটেজ ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং দুই বছর পরে মার্কিন নৌবাহিনী দ্বারা প্রকাশ্যে যাচাই করা হয়েছিল।
ফ্রেভার বলেন, আমরা যে প্রযুক্তির মুখোমুখি হয়েছি তা আমাদের যা কিছু ছিল, আজ আছে বা আগামী ১০ বছরে তৈরি করতে চাইছি তার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল।
বিমান বাহিনীর প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ডেভিড গ্রুশ বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা তথ্য লুকিয়েছেন এবং হুইসেলব্লোয়ারদের শাস্তি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন গোপনীয়তা আইনের কারণে জনসমক্ষে তিনি আর বেশি কিছু বলতে পারেনি।
ন্যান্সি মেস নামের সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা গ্রুশকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি অপার্থিব সত্ত্বা সম্পর্কে কী জানেন।
তিনি আরও জিজ্ঞেস করেন, সরকার দ্বারা পুনরুদ্ধার করা কোনও যান থেকে “বায়োলজিক্স” উদ্ধার করা হয়েছে কিনা।
আগের সাক্ষাতকারের উদাহরণ টেনে গ্রুশ বলেন, বায়োলজিক্সগুলো কিছু পুনরুদ্ধার করা বস্তুর সাথে এসেছে।
মেস জিজ্ঞেস করেন, তারা কি মানুষ ছিল নাকি অমানুষ ছিল?
উত্তরে গ্রুশ বলেন, তারা মানুষ ছিলনা। এ সম্পর্কে সরাসরি জ্ঞান থাকা লোকদেরও একই মত। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিশ্চিত করেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কখনও এলিয়েন দেখেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সামরিক কর্মী বা জনসাধারণ কর্তৃক এসব দৃশ্য রিপোর্ট করার জন্য একটি অফিসিয়াল রিপোর্টিং প্রক্রিয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
আমেরিকানস ফর সেফ অ্যারোস্পেস-এর নির্বাহী পরিচালক রায়ান গ্রেভস বলেছেন, আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা দরকার যেখানে পাইলটরা তাদের চাকরি না হারিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন। কংগ্রেস অধিবেশনের শেষে সেই অনুরোধটি মঞ্জুর করতে আগ্রহী বলে মনে হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট রবার্ট গার্সিয়া বলেন, ‘ইউএপি, তারা যাই হোক না কেন, আমাদের সামরিক এবং বেসামরিক বিমানের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হতে পারে এবং এটি অবশ্যই বোঝা উচিত। আমাদের আরও রিপোর্টিং উত্সাহিত করা উচিত। আমরা যত বেশি বুঝতে পারবো, তত নিরাপদ হব’।
রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক উভয় আইনপ্রণেতারা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। তবে এখানে বহির্জাগতিক কার্যকলাপ চলছে কিনা সে ব্যাপারে কয়েকজন সন্দেহ প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।