আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১৯ সালে বিশ্বের মোট জিডিপির ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশই এসেছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৯টি দেশ থেকে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি এ তথ্য জানিয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগী এই সংস্থাটি তাদের সদস্য দেশগুলোর আর্থিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সূচকের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে।
‘কি ইন্ডিকেটর ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক ২০২০’ শীর্ষ ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছর বিশ্ব জিডিপির ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ এসেছে এডিবি’র সদস্যভুক্ত এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৯টি দেশ থেকে। ২০০০ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিনিয়োগ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বের মোট বিনিয়োগের এক তৃতীয়াংশ এসেছে এই অঞ্চল থেকেই। গত বছর বিশ্বের মোট রপ্তানির ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে এই অঞ্চল থেকে। ২০০০ সালে যা ছিল ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৯ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশের ওপরে। যদিও এই অঞ্চলের অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি সম্প্রতি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ, ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে নেয়া লকডাউনে ব্যবসায়িক কাজকর্ম ও মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ছন্দপতন ঘটায় কর্মহীনের সংখ্যা বাড়ছে, মানুষের আয় কমে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্রতা দূরীকরণে কারিগরি ও ব্যবহারিক দক্ষতায় অঞ্চল চিহ্নিত করতে হবে এবং খানা ভিত্তিক জরিপে পাওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে; একই সঙ্গে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সুবিধা আদায় করতে হবে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুকি সাওয়াদা জানান, গেল দুই দশকে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর খুব দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে এবং তারা বিশ্ব জিডিপির বড় যোগানদাতায় পরিণত হয়েছে। এসময়ে এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ দরিদ্রতা থেকেও মুক্তি পেয়েছে।
সময়োপযোগী এবং নির্ভুল তথ্য সহযোগিতা এই অঞ্চলের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও যে যে ক্ষেত্রে আরও উন্নয়নের প্রয়োজন সে সব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে করোনভাইরাস মহামারির মধ্যে পর্যাপ্ত তথ্য সুবিধা এই অঞ্চলের অগ্রগতি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে যা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।