জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরের আবদার গ্রামের জৈনাবাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে মা সন্তানসহ একই পরিবারের নিহত চারজনকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক কবরস্থানে মা ও সন্তানদের পাশাপাশি চারটি কবরে তাদের দাফন করা হয়। করোনার কারণে শিক্ষার্বোড ফল প্রকাশে দেরি করায় নিহত বড় মেয়ে নুরার আর এসএসসির রেজাল্ট দেখে যাওয়া হলো না। জেএসসিতে ভাল ফল করায় পরিবারের সকলেই তাকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। পরিবারের সে আশা ভঙ্গ করে দিলেন দুবৃর্ত্তরা।
প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক স্মৃতি আক্তার ফাতেমা, তার বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা, ছোট মেয়ে হাওরিন হাওয়া ও বাক প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিলের শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজের পর গোলাবাড়ী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন স্থানীয়
মসজিদের ইমাম মোখলেছুর রহমান।
লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে জানাজায় যেন ব্যাপক লোকসমাগম না হয় সেজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল। আমরা সেই মোতাবেকই দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।
শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পদে পদে কাজল দম্পতির বড় মেয়ে নুরা সফলতার সাক্ষর রেখেছিল। সে এবার স্থানীয় এইচএকে একাডেমি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের আগেই দুর্বৃত্ততের হাতে মা, ছোট বোন ও ছোট ভাইয়ের সাথে নারকীয় বর্বরতার শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হলো তাকে।
এইচএকে একাডেমির পরিচালক শাহীন সুলতানা জানান, নুরা প্রতিটি পরীক্ষায় সফলতার সাক্ষর রেখেছিল। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পেয়েছিল।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছিল। এখানেও ফলাফলে তার ভালো করার কথা রয়েছে। তিনি আরও জানান, নুরা শিক্ষকদের বলেছিল সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চায়। এ স্বপ্নের কথা সে তার বাবা ও মাকেও বলেছিল।
অকালেই নুরার মতো এতটি মুকুল এভাবে ঝরে যাবে এ ঘটনা যেন কারও বিশ্বাসই হচ্ছে না। যারা এই মেধাবী নুরার স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি তার। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে মা ও তিন সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।