নাসা সম্প্রতি X-57 Maxwell নামে একটি বিদ্যুৎ চালিত এয়ারক্রাফ্ট তৈরির কাজ শেষ করেছে। বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয় বলে এই এয়ারক্রাফ্ট বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কেননা প্রথাগত পদ্ধতিতে এয়ারক্রাফ্ট এ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয় বলে তা পরিবেশ দূষণ করে। এজন্য বিদ্যুৎ চালিত এয়ারক্রাফট পরিবেশ দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রি পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। এজন্য জীবাশ্ম জ্বালানি বাদ দিয়ে এমন উপায় খুঁজতে হচ্ছে যা পরিবেশ দূষণ রোধ করবে।
নাসার তৈরি এক্স৫৭ ম্যাক্সওয়েল এয়ারক্রাফটকে উদাহরণ হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। নাসা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ রোধে তারা এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে টেকসই প্রযুক্তি নিয়ে আসবে।
নাসা এ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, বিদ্যুৎ চালিত প্লেনে উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব। নাসা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
নতুন তৈরি করা প্লেনে নাসা লিথিয়াম আয়নের ব্যাটারি ব্যবহার করেছে। এ ব্যাটারি প্লেনকে পাওয়ার প্রদান করবে। এর আগে এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি।
ব্যাটারির জন্য প্লেনকে শতভাগ সাপোর্ট দিতে পারে সেজন্য নাসা অনেক টেস্ট করেছে। নাসা জানিয়েছে যে, লিথিয়াম আয়নের ব্যাটারি ব্যবহার করাই সবথেকে নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি বলে গণ্য করা হচ্ছে।
নাসা বেশ কয়েকবার ভাইব্রেশন টেস্টের মাধ্যমে প্লেনের মোটর সিস্টেম কাজ করছে কিনা তা লক্ষ্য করে দেখেছে। পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, প্লেনটি যখন আকাশে উড়ে তখন মোটর সিস্টেম এবং হার্ডওয়ার সিস্টেম ভালোভাবেই কাজ করছে।
এক্স৫৭ ম্যাক্সওয়েল এয়ারক্রাফটি যেন দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছে নাসা। প্লেনটি লম্বা সময় ধরে আকাশে সফলভাবে উড়তে পারবে বলে নাসা দাবি করছে। নাসা এ প্রজেক্টে সফল হলে এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের নতুন যুগ শুরু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।