বিনোদন ডেস্ক : ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে প্রেম ভাঙা, সালমন খানের সঙ্গে শত্রুতা, বলিউডে কাজের সুযোগ হারানো— প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে সম্পর্কের মাসুল দিয়ে হারানোর তালিকাটা বড্ড লম্বা বিবেক ওবেরয়ের। সেই রাগই কি গিয়ে পড়েছিল রাই-সুন্দরীর ওপরে? তা না হলে নাম না করে ঐশ্বরিয়াকে এভাবে আক্রমণ করতে পারতেন সুরেশ ওবেরয়ের পুত্র?
সদ্য ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেম ভেঙেছে তখন। তার পরেই এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানেই আগল ভেঙে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে কটাক্ষ করেছিলেন বিবেক।
সালমনের সঙ্গে বহু-চর্চিত প্রেম ভাঙার পরে বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। রাগে-হিংসেয় জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যান সালমন। সোজা সেটে এসে বিবেককে হুমকি দিয়েছিলেন ‘ভাইজান’। বলেছিলেন, ঐশ্বরিয়ার থেকে দূরে থাকতে। বিবেকও ছাড়ার পাত্র নন। রাতারাতি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সালমনের কীর্তি ফাঁস করে দেন সুরেশ-পুত্র। জানতেন না, সেটাই হয়ে দাঁড়াবে চরম ভুল!
ভুলের মাসুলও দিতে হল। ইন্ডাস্ট্রির ‘টাইগার’ সালমনের ঘোষিত শত্রুপক্ষ হয়ে গেলেন বিবেক। বলিউড তাঁর থেকে মুখ ফেরাল। আর যাঁর জন্য এত কিছু, সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলেন সেই ঐশ্বরিয়াও!
পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন বিবেক। মেনে নেন, সালমনের সামনাসামনি বসে বিষয়টা মিটিয়ে নিলেই ভাল হত। এ-ও জানান, সালমনের ছোট ভাই এবং বিবেকের বন্ধু সোহেল খান সে সময়ে তাঁকে খানিক অপেক্ষা করে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। যা সে সময়ে তিনি কানে তোলেননি।
ওই সাক্ষাৎকারেই সঞ্চালক, নৃত্য পরিচালক ফারহা খান প্রশ্ন করেন— যাঁর জন্য বিবেক এত কিছু করেন এবং বিনিময়ে এত কিছু খোয়ান, তিনি তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন কি না। নাম না করে ঐশ্বরিয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন ফারহা। জবাবে বিবেকও নাম না করেই বলেন, “এখানে সবই ভেজাল। প্লাস্টিক হাসি থেকে প্লাস্টিক হৃদয়!”
রামগোপাল বর্মার ছবি ‘কোম্পানি’-তে কেরিয়ার শুরু করেন বিবেক। এর পরে ‘সাথিয়াঁ’, ‘মস্তি’, ‘যুবা’- একের পর এক ছবিতে অভিনয়ে নজর কাড়েন অভিনেতা। ‘কিঁউ হো গয়া না’ ছবিতে ঐশ্বরিয়ার বিপরীতে কাজ করার সূত্রে দু’জনের প্রেম এবং ২০০৩ সালে সালমনের হুমকির পরে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন বিবেক। অভিনেতাকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে। ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।