জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর জাল করে কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্যাডে দলীয় সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্রটি ত্রুটিপূর্ণ ও সন্দেহজনক হওয়ায় নিমাই সিংহ নামের ওই নেতা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিমাই সিংহ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উলিপুরে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যার্শী প্রায় এক ডজন নেতা বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন নেতা পৌর শহরের মোড়ে মোড়ে পোস্টার ও বিলবোর্ড ঝুলিয়েছেন। তারা লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ শুরু করেছেন। গণসংযোগকারী নেতাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক নিমাই সিংহ অন্যতম।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, কোনো রকম কারণ দর্শনোর নোটিশ ছাড়াই প্রভাষক নিমাই সিংহকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশ পত্রে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর রয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা সংবলিত প্যাডে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে কারণ উল্লেখ করে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ওই পত্রটি গত ৪ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকসহ বিভিন্ন নেতার নামে ডাকযোগে আসে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্যাড এবং ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই পত্রে নিমাই সিংহের নামের বানান ভুল ছাড়াও ভাষাগত ভুলসহ ১০টি জায়গায় বানান ভুল রয়েছে। এ ছাড়া অনুলিপিতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদের নামের বানানও ভুল রয়েছে। এ ধরনের সন্দেহজনক পত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে যেমন তোলপাড় শুরু হয়, তেমনি তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
নিমাই সিংহ বলেন, ‘একটি কু-চক্রী মহল আসন্ন পৌর নির্বাচনে আমার ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে শুধু আমাকেই হেয় করেনি, বরং দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্বাক্ষর জাল করে চরম ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে। এ কারণে আমি বিষয়টি আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় জিডি করেছি।’
এ প্রসঙ্গে উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, ‘প্রভাষক নিমাই সিংহ দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। ওই বহিষ্কারাদেশ পত্রটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ওই পত্রটি ও স্বাক্ষর দুটিই জাল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা দলের জন্য আত্মঘাতী। এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত।’
উলিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন জিডি’র বিষয়ে জানান, আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর সাক্ষর জাল করার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নিমাই সিংহ একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।