ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ হাতিম সালিহ ওয়ার্মহোল নিয়ে দুর্দান্ত কাজ করে দেখিয়েছেন। তিনি কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে ওয়ার্মহোলকে সচল করার কার্যকরী উপায় হাতে পেয়েছেন। তিনি একই সাথে একটি সুস্পষ্ট পদ্ধতি প্রস্তাব করেছেন।
পদার্থবিদ হাতিম সালিহ ’কাউন্টারপোর্টেশন’ নামে একটি পদ্ধতির ব্যাখ্যা করেছেন। আপনি এ পদ্ধতির সাথে টেলিপোর্টেশন সিস্টেমের তুলনা করতে পারেন। তবে টেলিপোর্টেশন সিস্টেমের মতো মনে হলেও অনেক পার্টিকেল শারীরিকভাবে মুভ করানো সম্ভব হবে না। অর্থাৎ পার্টিকেল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না।
হাতিম সালিহ কীভাবে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবেন তার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ব্লু প্রিন্ট প্রস্তুত করা হয়েছে । কোয়ান্টাম কম্পিউটার সিস্টেম আরো ডেভেলপ করা সম্ভব হলে ওয়ার্মহোল এর এ গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।
সে সময় স্থান এবং কালকে কেন্দ্র করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত এবং সহজে তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে। কোন ফিজিক্যাল মুভমেন্ট বাদ দিয়েই তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
এ পদ্ধতি কার্যকর হলে কোন বস্তুর ফিজিক্যাল মুভমেন্ট এর প্রয়োজন হবে না। পদার্থবিদ হাতিম সালিহ বিশ্বাস করেন যে, ফিজিক্স এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সহায়তা নিয়ে স্পেসের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে যাওয়া সম্ভব।
স্পেস এর দুটি পয়েন্টের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা এবং দ্রুত তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হবে এ পদ্ধতি কার্যকরের মাধ্যমে। ওয়ার্মহোল এর বিষয়টি নিয়ে থিওরি এবং ব্যবহারিক উভয় জায়গায় ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।
সত্যি বলতে ওয়ার্মহোল এর এ ব্লুপ্রিন্ট এখনই কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তার জন্য আরো উন্নত মানের প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে। এজন্য নতুন ধরনের অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণ করা প্রয়োজন। তবে এসব অত্যাধুনিক কম্পিউটার কীভাবে নির্মাণ করতে হবে তা পুরোপুরি জানা সম্ভব হচ্ছে না। অদূর ভবিষ্যতে ল্যাবে ওয়ার্মহোল তৈরি করা হবে বলে বিশ্বাস করেন পদার্থবিদ হাতিম সালিহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।