আপনাকে যদি বলা হয় একটি গোপন পরিবার প্রায় পুরো ইউরোপকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তাহলে হয়তো আপনি বিশ্বাস করবেন না। এমনকি তাদের হাতে ইন্ডাস্ট্রি এবং ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত রয়েছে। ২০০৩ সালে এ পরিবারের হাতে ছিল প্রায় কয়েকশ বিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বৈশ্বিক আর্থিক সংস্থায় তাদের প্রভাব রয়েছে।
সবথেকে মজার ব্যাপার হলো আপনি হয়তো এ পরিবারের নাম কখনো শোনেননি এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনীদের নাম সার্চ করলে আপনি সেখানে তাদের নাম পাবেন না। কারণ তারা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আসতে চান না। তাদেরকে বলা হয় ওয়ালেনবার্গ ফ্যামিলি।
ওয়ালেনবার্গ ফ্যামিলিকে বলা হয় ইউরোপের সবথেকে ধনী এবং ক্ষমতাবান পরিবার। ১৮৩৭ সালে আমেরিকা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন হয়। তখন সুইডেনের নৌবাহিনীর অফিসার আন্দ্রে অস্কার ওয়ালেনবার্গ এ অস্থিরতার মধ্যেও ইতিবাচক কিছু খুঁজে পান।
তিনি ওই সময় আমেরিকার ব্যাংকিং সিস্টেমকে অনেক কাছ থেকে দেখেন এবং বুঝতে পারেন যে সুইডেনের ব্যাংকিং সিস্টেম কিছু সুযোগ হাতছাড়া করছে। তিনি ১৮৫৬ সালের ফিরে একটি নতুন ব্যাংক হলেন। সংক্ষেপে এটাকে বলা হতো seb ব্যাংক।
তিনি নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতেন বলে সুইডেনের মানুষ এ ব্যাংকে তাদের টাকা রাখত। তখন সুইডেনের মানুষের কাছে এ বিষয়টি নতুন ছিল। তিনি চড়া সদে বিনিয়োগকারীদের লোন দিতেন। এ বিজনেস মডেলের মাধ্যমে ব্যাংকটি পুরো দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং ছড়িয়ে পড়ে।
এভাবে পুরো সুইডেনের ইকোনমি তাদের কন্ট্রোলে চলে আসে। সুইডেনের প্রায় সবক্ষেত্রে এ পরিবারের বিনিয়োগ ছিল। এভাবে তারা আধিপত্য বিস্তার করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়ালেনবার্গ ফ্যামিলি নিজেদের বিজনেসের কথা ভেবেছিল।তারা লোন দিতে থাকে এবং যুদ্ধ পরবর্তী উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করতে থাকে। এত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর ওয়ালেনবার্গ ফ্যামিলি এখনো টিকে আছে এবং বিজনেস ও বিনিয়োগে তারা আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।