লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতিদিন জামাকাপড় এবং অন্যান্য কাপড়চোপড় ধোয়ার ঝামেলা অনেকটাই কমে যায় ওয়াশিং মেশিনের কল্যাণে। ওয়াশিং মেশিন সময় যেমন বাঁচায় তেমনি পরিশ্রমও কমায়। বলা চলে ঘরবাড়ির জন্য আশীর্বাদ এই ইলেকট্রিক পণ্য। কিন্তু ওয়াশিং মেশিনে কোন কাপড় দেওয়া যাবে, কোনটা কতক্ষণের জন্য দেওয়া যাবে কিংবা সাবানই বা কতটুকু দেওয়া উচিত এসব অনেকেরই অজানা।
জেনে নিন সেসব―
সব ধরনের কাপড় ওয়াশিং মেশিনে দেওয়া যায়। তবে ভিন্ন ভিন্ন তন্তুর জন্য ভিন্ন সেটিং। বর্তমানে জামাকাপড়ের গায়ে ট্যাগ সেঁটে দেওয়া হয় কিংবা সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয় পোশাকটি ধোয়ার নির্দেশিকা। যেখানে উল্লেখ থাকে কোন কাপড় কিভাবে ধুতে হবে।
কিংবা ওয়াশিং মেশিনে কোন মোডে দিতে হবে এটাও অনেক পোশাকেই উল্লেখ করা থাকে। তাই কাপড় ওয়াশিং মেশিনে দেওয়ার আগে খেয়াল করুন পোশাকে উল্লেখিত নির্দেশনা।
ওয়াশিং মেশিন চালানোর আগে কিভাবে সেটিংস ঠিক করতে হয়, সেটা জেনে নিন। সব ধরনের জামাকাপড় বা ফ্যাব্রিকস একধরনের সেটিংসে কাচা যায় না।
বেশির ভাগ জামাকাপড়ই নরমাল সেটিংসে ধোয়া যায়। তবে অনেক জামাকাপড়ের জন্য আলাদা সেটিংস সেট করতে হয়। বিশেষ করে শীতকালীন পোশাক, ডেনিম বা জিন্স ইত্যাদির জন্য সেটিংস আলাদা হয়।
জামাকাপড় বেশি নোংরা হয়েছে বলেই বেশি বেশি ডিটারজেন্ট দিয়ে দেবেন না। এতে ওয়াশিং মেশিনের ক্ষতি।
জামাকাপড় খুব নোংরা হলেও সাধারণভাবে যতটা ডিটারজেন্ট লাগে, ততটাই দিন। প্রয়োজনে দুইবার করে জামাকাপড় মেশিনে ঘুরিয়ে নিন। কারণ অনেক সময় অতিরিক্ত সাবান মেশিনের গায়েই লেগে থাকে। এর ফলে মেশিনের ক্ষতি হয়।
অনেক সময়ই কাপড় ধোয়া হয়ে গেলেও কাপড় মেশিনের ভেতরে ফেলে রাখেন অনেকে। যা একদমই ঠিক না। ভেজা জামাকাপড় দীর্ঘক্ষণ মেশিনের ভেতরে ফেলে রাখবেন না। এতে জামাকাপড়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ ছাড়া এভাবে ফেলে রাখলে মেশিনেরও ক্ষতি হতে পারে।
সুতি, সাদা, সিল্ক রঙিন ইত্যাদি কাপড় আলাদা আলাদাভাবে ধুতে দেওয়া উচিত। সব ধরনের জামাকাপড় একসঙ্গে কখনোই মেশিনে ঢোকাবেন না। এর ফলে যেমন একটা পোশাকের রং অন্য পোশাকে লেগে যেতে পারে তেমনি ওয়াশিং মেশিনের জন্যও ভালো নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।