সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এ দাবি জানান।
মহার্ঘ ভাতা প্রদান সময়ের দাবি
ডিইউজের নেতারা বলেন, প্রতি ৫ বছর পর পর ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার নিয়ম থাকলেও এবার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে। সরকারিভাবে নতুন ওয়েজবোর্ড কার্যকর হয়নি, যা সাংবাদিক সমাজে হতাশার সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি, নতুন অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর পরিকল্পনা থাকলেও সাংবাদিকদের জন্য এখনও কোনো ঘোষণা আসেনি।
Table of Contents
সাংবাদিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাসা ভাড়া, নিত্যপণ্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় অবিলম্বে মহার্ঘ ভাতা চালু করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার আহ্বান
ডিইউজের নেতারা বলছেন, নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই মহার্ঘ ভাতা চালু করতে হবে। এটি সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে একই বেতন কাঠামোতে কাজ করে চলেছেন সাংবাদিকরা।
এমন পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হলে সাংবাদিকদের মানসিক স্বস্তি যেমন আসবে, তেমনি পেশাগত মনোযোগও বাড়বে।
ঈদে ছুটি নিয়ে ডিইউজের চিঠি
ডিইউজে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংবাদপত্র ৬ দিন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে। এ লক্ষ্যে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সরকার এবারের ঈদে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই সাংবাদিকদের জন্য কমপক্ষে ৬ দিনের ছুটি রাখা উচিত।
সাংবাদিকরাও সমাজের অন্যান্য শ্রেণির মতো পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান। তাই এই ছুটির বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ দরকার
সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার রক্ষায় সংগঠনগুলোর আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ও মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।
এছাড়া সংবাদমাধ্যম মালিকদেরও উচিত সাংবাদিকদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতে সহায়তা করা।
সাংবাদিক সমাজের প্রতিবাদ ও দাবি
ডিইউজে তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা প্রয়োজনে আরও বড় পরিসরে আন্দোলনের পরিকল্পনা নিতে পারে। সাংবাদিক সমাজের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, বিভিন্ন স্তরে দাবি আদায়ের জন্য জনমত গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বর্তমান বাস্তবতায়, মহার্ঘ ভাতা শুধু একটি আর্থিক সহায়তা নয়, বরং সাংবাদিকদের প্রতি ন্যায্য ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক।
আব্দুল জব্বার মন্ডল ভোক্তা অধিকারের ভুয়া ভিডিও প্রসঙ্গে মুখ খুললেন
FAQs
- মহার্ঘ ভাতা কী?
এটি একটি আর্থিক সহায়তা যা জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করতে দেওয়া হয়, বিশেষ করে যখন দ্রব্যমূল্য বাড়ে। - কখন মহার্ঘ ভাতা চালু হয়?
সাধারণত নতুন অর্থবছরে বা মূল্যস্ফীতির সময় সরকার এটি চালু করে থাকে। - সাংবাদিকরা মহার্ঘ ভাতার দাবি কেন করছেন?
বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সাংবাদিকদের আয় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম, তাই তারা এই সহায়তা চাচ্ছেন। - ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ কী?
এটি একটি সরকারি ঘোষণা যা সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে। - ডিইউজে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে?
তারা সরকার ও সংবাদপত্র মালিকদের কাছে দাবি জানাচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে আন্দোলনের পথে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।