স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন আর প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম। ওয়ানডে ক্রিকেট গড়পড়তা মানের হয়ে গেছে বলে মনে করছেন তিনি। পাকিস্তানের কিংবদন্তি সাবেক পেসারের দৃষ্টিতে, খেলতে হবে, কেবল এমন মানসিকতা নিয়ে এই সংস্করণে নামেন ক্রিকেটাররা। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার থেকে ওয়ানডে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছিলেন বাঁহাতি গতি তারকা ওয়াসিম। ৩৫৬ ম্যাচে তার শিকার ৫০২ উইকেট। এই সংস্করণে পাঁচশর বেশি উইকেট নেওয়া মাত্র দুই বোলারের একজন তিনি। তাছাড়া, পাকিস্তানের এখন পর্যন্ত একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ওয়াসিম। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯২ আসরের ফাইনালে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সে ওয়ানডেতে সফলতার শিখরে পৌঁছালেও সংস্করণটিকে বাদ দেওয়ার পক্ষে ওয়াসিম। বুধবার ভনি অ্যান্ড টাফার্স ক্রিকেট ক্লাব পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় (আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার থেকে ওয়ানডে ক্রিকেট বাদ দেওয়া উচিত)। ইংল্যান্ডে (ওয়ানডে ম্যাচের সময়) স্টেডিয়াম দর্শকে পূর্ণ থাকে। ভারত, পাকিস্তান, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ম্যাচে স্টেডিয়াম দর্শকে পূর্ণ থাকে না।’
৫৬ বছর বয়সী ওয়াসিমের মতে, সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ওয়ানডে খেলছেন না ক্রিকেটাররা, ‘খেলতে হবে, কেবল একারণেই ক্রিকেটাররা খেলছে। প্রথম ১০ ওভার শেষে পরিস্থিতি এরকম দাঁড়ায়, ঠিক আছে, প্রতি বলে রান করো, একটি বাউন্ডারি মারো। ৩০ গজ বৃত্তের ভেতরে চারজন ফিল্ডার থাকে এবং ৪০ ওভারে ২০০-২২০ রান জমা করো। শেষ ১০ ওভারে আক্রমণাত্মক খেলে আরও ১০০ রান তোলো। (ওয়ানডে ক্রিকেট) গড়পড়তা মানের হয়ে পড়েছে।’
মাত্র ৩১ বছর বয়সে ওয়ানডে থেকে গত মঙ্গলবার অবসর নিয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। স্টোকসের সিদ্ধান্ত বিস্ময় জাগালেও ওয়াসিম তাকে দিয়েছেন সমর্থন, ‘তার (স্টোকস) ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তটি হতাশাজনক কিন্তু আমি তার পক্ষে। এমনকি ধারাভাষ্যকার হিসেবেও ওয়ানডে ক্রিকেট এখন (আমার কাছে) বিরক্তিকর। বিশেষ করে, টি-টোয়েন্টি আসার পর। আমি ক্রিকেটার হিসেবেও সেটা ধারণা করতে পারছি। (দুই ইনিংসে) ৫০ ওভার করে খেলার পাশাপাশি ম্যাচের আগে, পরে ও বিরতির সময় কথা বলা লাগে।’
ওয়ানডে ক্রিকেট মৃত্যুপথযাত্রী বলেও দাবি করেছেন ওয়াসিম, ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণ তুলনামূলক সহজ, চার ঘণ্টায় ম্যাচ শেষ। বিশ্ব জুড়ে লিগগুলোতে বিপুল অর্থ পাওয়া যায়। আমি মনে করি, এটিই এখন আধুনিক ক্রিকেটের অপরিহার্য সংস্করণ। টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট ক্রিকেট (খেলা উচিত)। ওয়ানডে ক্রিকেট প্রায় মারা যাওয়ার পথে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।