বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর মধ্যে রয়েছে—গুগল ক্রোম, সাফারি, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, ইউসি ব্রাউজার ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজ করলেও অনেকে জানেন না, সেবাদানকারী ব্রাউজারগুলো কীভাবে আয় করে। একনজরে জেনে নিতে পারেন নতুন এই তথ্য।
আমাদের জীবনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মতো ইন্টারনেটও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট ব্রাউজিং ছাড়া যেন একদিনও চলে না। অফিসে হোক বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বা অন্য কোনো কাজে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করি।
১. সার্চ রয়্যালিটি ও ব্যানার অ্যাজভারটাইজ
মজিলা ফায়ারফক্স ২০১৮ সালে ৪৫১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যার ৯৫ শতাংশ এসেছে রয়্যালটি থেকে। যখন কেউ মজিলা ফায়ারফক্সের বিল্ট-ইন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কিছু অনুসন্ধান করে, তখন সেখানে যে বিজ্ঞাপন দেখা যায়, তা থেকেই মূলত মজিলা তার রয়্যালটিগুলো আয় করে।
গুগল ক্রোমের প্রক্রিয়াও মজিলা ফায়ারফক্সের মতোই। গুগলও বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অর্থ পায়; কিন্তু অন্যান্য ব্রাউজারে রয়্যালটি পরিশোধ করার পরিবর্তে ওই অর্থ গুগল ক্রোমে চলে যায়, তাই গুগলের ক্রোম ব্যবসা বেশ লাভজনক।
গুগল সার্চ ফায়ারফক্সকে বছরে ৪০০ থেকে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়্যালটি পরিশোধ করে। অন্যদিকে, গুগল সাফারিকে বছরে ৯ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার দেয় রয়্যালিটি বাবদ।
২. ইনডিরেক্ট রেভিনিউ
গুগল ক্রোমেরও অর্থ উপার্জনের পরোক্ষ উপায় রয়েছে। যখন কোনো ব্যবহারকারী গুগল ক্রোম ব্যবহার করে, তখন তারা এর বাকি অ্যাপ, যেমন— জিমেইল, গুগল অ্যাপস, গুগল ডকস এগুলোও ব্যবহার করে। প্রতিবার এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করার ফলে পেজ ভিউ বেড়ে যায় এবং বিজ্ঞাপনের আয় বৃদ্ধি পায়।
৩. ইম্প্রুভড ট্র্যাকিং
গুগলের অ্যাডসেন্স ব্যবহারকারীদের ডেটাগুলো বেশ ভালোভাবে ট্র্যাক করে। ক্রোম ব্যবহারকারীর ডেটাগুলো ট্র্যাক করে তা অ্যাডসেন্সের প্রোগ্রাম উন্নত করতে ব্যবহার করে। ডেটা যখন বেশি থাকে, তখন একজন ব্যবহারকারীর প্রোফাইল আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং যারা সম্ভাব্য গ্রাহক, তাদের হোমপেজে বিজ্ঞাপনগুলো আরও ভালোভাবে যুক্ত করা যায়। তাই আরও জুতসই বিজ্ঞাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অ্যাডসেন্স তার প্রতিযোগীদের তুলনায় বিজ্ঞাপনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ চার্জ করতে সক্ষম।
৪. মার্কেটপ্লেস ফি
বেশিরভাগ ওয়েব ব্রাউজারই নতুন কার্যকারিতা যোগ করার জন্য তার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন এক্সটেনশন অফার করে থাকে। এই এক্সটেনশনগুলো বিভিন্ন থার্ড পার্টি ডেভেলপাররা তৈরি করে, তারা তাদের এক্সটেনশনের জন্য অনেক সময় চার্জ করে থাকে। যদি কোনো থার্ড পার্টি ব্যবহারকারীদের চার্জ করার জন্য ক্রোম ওয়েব স্টোরের এপিআই ব্যবহার করে, তখন গুগল সেখান থেকে ৫ শতাংশ হারে ফি নেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।