এক নারীর জন্য ২ স্বামীর সংঘর্ষ, তারপর যা ঘটল

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক নারীর দ্বিতীয় স্বামীর হাতে প্রথম স্বামী শাহ আলম নিহত হয়েছেন। গত ১ আগস্ট (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহ আলম হাওলাদার মারা যান।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, প্রায় দেড় যুগ আগে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে মো. শাহ আলমের সাথে পার্শ্ববর্তী খাদা গ্রামের মো. মানিক হাওলাদারের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। এই দম্পতির সংসারে তিনটি সন্তান ও রয়েছে।

সম্প্রতি ওই নারী শাহ আলমের ঘর ছেড়ে একই উপজেলার রায়েন্দা বাজারের পাঁচ-রাস্তার মোড় এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আ. রহমান হাওলাদারকে বিয়ে করেন।

এ ঘটনা জানার পর শাহ আলম উত্তেজিত হয়ে ২২ জুলাই রাতে মুদি ব্যাবসায়ী রহমান হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করেন । ওই সময় আব্দুর রহমানের আত্মীয় স্বজনরা শাহ আলমকে হাতুড়িপিটা করে গুরুতর জখম করেন।

স্থানীয়রা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলমকে খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ১ আগষ্ট রাত আনুমানিক পৌনে দশটার সময় আহত শাহ-আলম মারা যান ।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এস.কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, সোমবার বিকেলে নিহত শাহ আলম বিশ্বাসের ভাই ফারুক হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দিয়েছে। আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।