কথায় কথায় থানা ঘেরাও কি চলতে থাকবে বলে প্রশ্ন করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। তিনি বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক সংগঠন যদি কথায় কথায় থানা ঘেরাও করতে থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকবে। পুলিশ আরো বেশি কোণঠাসা হয়ে পড়বে। এমনিতেই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বড় একটা ধাক্কা পুলিশের ওপর পড়েছে, যা এখনো তারা কাটাতে পারেনি।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার সামনে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে না চাইলে কথা কাটাকাটির জের ধরে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ফিরোজ বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটা থানায় আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করতে হবে। কিন্তু পাবলিক হয়ে আরেকজন পাবলিককে আটক করে কিভাবে থানায় নিয়ে যায়?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হোক বা অন্য কারো এই আটকের ক্ষমতাটা কি আছে প্রশ্ন রেখে ফিরোজ বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই।
তাহলে মামলা না থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে, মামলা বানাইতে হবে, পুলিশকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যেন অন্যায় কাজ করে। তাহলে তো আগে ছাত্রলীগ যে কাজ করতো সেই প্রক্রিয়ায় চলছে।
ফিরোজ আরো বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পর সেটা থানা পুলিশকে জানানোর পর তারা অ্যাকশন না নিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানোর বিধান আছে। সেখানে নিজ হাতে এসব চলতে থাকলে প্রশাসন কাজ করবে কিভাবে? তাহলে তো তাদেরই প্রশাসনে আসা উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।